মিজানুর রহমান,হরিপুর প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অতীতে তরমুজ চাষ বেশ জনপ্রিয় ছিল। কালক্রমে কমতে থাকে এর আবাদ। তবে সেই সুদিন যেন আবার ফিরে এসেছে। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তিদায়ক রসাল ফলটির চাষ বেড়েছে উপজেলায়। অল্প সময়ের মধ্যে এটি পরিণত হয় লাভজনক ফসলে। কেননা এ তরমুজ চাষ করে অনেক কৃষকের ভাগ্যের দ্বার খুলেছে। এ ধারা বজায় রাখার জন্য পড়ন্ত মৌসুমে হরিপুর উপজেলার অনেক কৃষক মাচায় মালচীন প্রদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করছেন। এরই মধ্যে সফলতার মুখ দেখছেন তারা। তাদের আবাদ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন উপজেলার অন্যান্য্য কৃষকরাও।
মাচায় আগাম জাতের ব্ল্যাক বেবী ও গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এ নতুন পদ্ধতিতে চাষ করে তিনগুণ বেশি লাভবান হয়েছেন তারা। কুড়ি শতক জমিতে তরমুজের চাষাবাদ ও আনুষঙ্গিক ব্যয়সহ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে মানিক ও শাহিন আলমের। শাহিন আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের ছাত্র।
এখন মাচায় অনেক তরমুজ ঝুলছে, যা বিক্রি করে অর্থ ঘরে তুলবেন তারা।
উপজেলার হরিপুর সদর ইউনিয়নের সাংবাদিক আল মামুন চৌধুরী জানান, চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করতে ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশা করছেন ৪/৫ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করবেন। তিনি আরও জানান আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে বিক্রি করবেন।
উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের মানিক ও শাহিন বলেন, ২০ শতক জমিতে ৯শ টি গর্তে তরমুজের চারা রোপণ করেন। এ নতুন পদ্ধতিতে আমরাও তরমুজ চাষের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। মাচায় আগাম চাষে লাভবান হওয়া যাবে, তাই আমরা এবার এভাবে তরমুজ চাষ করেছি। তারা আরও জানান, বর্তমানে গাছগুলো ফেটে যাচ্ছে এবং পাতাগুলো কুকড়া হয়ে যাচ্ছে।
হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: গুলজার রহমান বলেন, অফ সিজনে মাচায় মালচীন প্রদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।