“অপ্রতিরোধ অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের জেলা ও উপজেলার প্রায় দুইশত শিল্পীর অংশগ্রহনে নৃর্ত্য আর গানে দর্শক মাতালেন গণজাগরণের উৎসবে।
বুধবার সন্ধায় দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি দিনাজপুরের ব্যবস্থাপনায় শিল্প সংস্কৃতি সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গণজাগরনের শিল্প আন্দোলনের অংশ হিসেবে দিনাজপুরে প্রায় দুইশত শিল্পীর অংশগ্রহনে জমে উঠল গণজাগরণের উৎসব।
দেশের ৬৪টি জেলায় ২ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর এই গণজাগরণের যে শিল্প শুরু হয়েছে তারই অংশ হিসেবে দিনাজপুরে এই গণজাগরণের উৎসব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নুর আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি অনলাইনে উদ্বোধন করতে গিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহা-পরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাঙালী জাতির হাজার বছরের শিল্প সাংস্কৃতির, মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার যে গণজাগরণ রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের নিয়ে গণজাগরণের এই উৎসব। তিনি আরোও বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চা মানেই সুন্দরের চর্চা, যার মধ্যে থাকবে বাঙালীর স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছা। শিল্প ও শিল্পের ক্ষমতা হবে শিল্পের অবাধ প্রবাহ। এই প্রবাহের পাশে জনপ্রতিনিধিদের দাড়াতে হবে। প্রত্যেক মনের সাথে শিল্পের সম্পর্ক রয়েছে তা সবাইকে নিয়ে শিল্পের গণজাগরণ সফল করতে হবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মীন আরা পারভীন ডালিয়া।
এসময় দিনাজপুর নাট্য সমিতির রেজাউর রহমান রেজু, বিশিষ্ট পরিচালক মরহুম আকবর আলী ঝুনুর কন্যা জেলা ভেটেরিনারী অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষা, নাট্য সমিতির সহকারী অধ্যক্ষ তরিকুল আলম তরু, বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক জলিল আহম্মেদ, বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশন রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তারেকুজ্জামান তারেকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ দিনাজপুর শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।