দিনাজপুরে ২/৩দিন ধরে ঘনকুয়াশার সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বেড়েছে কৃয়াশাসহ হিমেল বাতাসের প্রকোপ। কমছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কুয়াশা বেশি হওয়ায় আগাম রোপণ করা বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। বেশি পড়লে চারাগুলো বিবর্ণ হয়ে যাবে। শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে মানুষ কাজে বের হাতে পারছে না।
সোমবার ভোরেও ভারী কুয়াশাসহ ঝরতে থাকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোঁটার মতো। দুপুর পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করে হেড লাইট জ্বালিয়ে। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকে মাঠ-ঘাট। দুপুর ১২টার পর থেকে দেখা মেলে সূর্যের। তবে উত্তরের কনকনে হিমেল বাতাস প্রবাহের কারণে সূর্যের উত্তাপ গায়ে লাগেনি। বাতাসের প্রবাহ থাকায় দিনের বেলাতেও শীত অনুভ‚ত হতে থাকে। বিকেল হতেই শুরু হয় হিমেল হাওয়া। অনুভ‚ত হতে থাকে কনকনে শীত। সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় মাঝারী থেকে ভারী কুয়াশা।
চরম দুর্ভোগে পড়ে জেলার দুঃস্থ ও খেটে খাওয়া লোকজন। কনকনে শীত সাধ্যমত গরম কাপড় গায়ে জড়িয়েই কাজে বেরিয়েছে শ্রমজীবী মানুষরা।
এদিকে শীত জেঁকে বসার সাথে সাথে সরগরম হয়ে উঠছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। জেলা শহরের পুরাতন শীতের মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলোতে শীতবস্ত্রের জন্য খদ্দেরদের চাপ লক্ষ্যনীয়। তবে বেশি ভিড় মৌসূমী পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে।
চিরিরবন্দরের নশরতপুর এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে বোরো বীজ রোপণ করেছি। চারা বের হয়ে সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। শীত কম থাকলে চারা দ্রæত বড় হয়। কিন্তু শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা চারা বড় হতে সমস্যা হবে। এছাড়াও ঘনকুয়াশা আলু-পিয়াজ চাষেও সমস্যার কারণ হতে পারে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ভাগ। চলতি মাসের শেষে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিরল
বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা। এতে করে যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে দারুণ বিপর্যয়। দিনের বেলাতেও অনেক যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতার কারণে অসুবিধায় পড়েছেন নি¤œ আয়ের মানুষেরা। বয়স্ক এবং শিশুসহ অনেকেরই দেখা দিয়েছে সর্দ্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগ।