রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:- ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে মশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আ’লীগের ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৭দফা দাবী আদায়ের লক্ষে এ কর্মসুচির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক। তিনি তার বক্তব্য বলেন,পাশের উপজেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১২ টি মন্দিরের মুক্তি রাতের আধারে ভাঙ্গা হলো, এখনও একজন আসামী ধরতে পারেনি প্রশাসন। সেখানে পুরো ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে প্রশাসন।
এদিকে আবার বর্তমান আ’লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সংখ্যালগু সুরক্ষা আইন,বৈষম্য বিরোপ,দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষন আইন,অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ওপার্বত্য ভুমি আইন, আদিবাসীদের পৃথক ভুমি আইন এখনও বাস্তবায়ন না করায়। ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছে। এটি দু:খজনক ঘটনা। সাধন বসাক বলেন, দাবী আদায়ের লক্ষে আজ মশাল মিছিল করেছি। আগামীতে আরো অন্যান্য কর্মসুচি নেওয়া হতে পারে। যদি তারপরেরও বর্তমান সরকারের মেয়াদেই সংখ্যালগু সম্পদায়ের ৭ দফা দাবী না বাস্তবায়ন করা হয়। তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে বলে তিনি হুশিয়ারী দেন ।
শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬টায় পৌরশহরের বন্দর চৌরাস্তা থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে পৌশহরের প্রধান প্রধান ফটক পদক্ষিণ করে পূনরায় পূর্বের স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,রাণীশংকৈল দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ সাহা,শ্রমিক নেতা পরিমল সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধার সম্পাদক অনুপ বসাক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমল সরকার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছবিকান্ত দেব।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় আ’লীগের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে তারা বলেন, সংখ্যালগু সুরক্ষা আইন,বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন,দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন,পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভুমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন,সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠনসহ ৭দফা এখন সময়ের দাবী,তাই এটি দ্রুত বাস্তবায়ন চান তারা।