তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
দেশের বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৮ বিজিবির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাবান্ধা ও ভারতের ১৭৬ বিএসএফের ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি আইসিপি পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে দিবসটি আনন্দপূর্ণভাবে পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পশ্চিম রিজিয়নের বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজামান ও ভারতের আইজি ফ্রন্টিয়ার শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি শ্রী সুশীল কুমার, বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এম এইচ হাফিজুর রহমান, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো. যুবায়েদ হাসান ও বিএসএফের শ্রী পিকে সিং, ডিআইজি শিলিগুড়ী সেক্টরসহ বিজিবি-বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, অন্যান্য সামরিক ও স্থানীয় বেসামরিক কর্মকর্তা। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও কয়েক শতাধিক পর্যটক।
দু’দেশের ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ, জাতীয় পতাকা নামানো, মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী বিনিময় করা হয় উভয় দেশের বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তাদের হাতে। ঐতিহাসিক জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিনিময় করা হয় বিশেষ স্মারকচিহ্ন। পরে প্যারেড শেষে উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ও বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিজেন্টের সাথে ফটোশেসনে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দু’দেশের মানুষের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ তা ভুলার নয়। এ সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়। এ ধরণের অনুষ্ঠান দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। দু’দেশের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিবে। উভয়দেশের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে সীমান্ত শান্তিশৃঙ্খলায় বিজিবি-বিএসএফ দায়িত্ব পালন করবে। #