অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ২.৩০ টায় সকল অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি কনফারেন্স রুমে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, আইকিউএসি’র পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান, সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন, অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা, জেল, জুলুম সহ্য করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরস‚রি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই তিনি শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর অংশ হিসেবেই রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কতটা স্বচ্ছ করা যায় সেটি নিয়ে তিনি কাজ করছেন। এটির প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণম‚লক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং এর মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা নিয়ে আসা। যেটির সুফল আমরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। আমরা লাইব্রেরি অটোমেশন করেছি, এর ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে লাইব্রেরির সকল তথ্য পাচ্ছে। পাশাপাশি রেজাল্ট প্রেসেসিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ঝামেলা কমাতে অনলাইন এনরোলমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। কত দ্রæত ও সহজে শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের ৪ টি মৌলিক ভিত্তি হল স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি। এই ভিত্তিগুলো গঠনে তোমাদেরকেই মুখ্য ভ‚মিকা রাখতে হবে। পরিশেষে তিনি এ ধরণের কর্মশালা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।