তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
তেঁতুলিয়ায় টানায় চারদিন দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত সোমবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯.৭, রোববার ১০ ডিগ্রি ও ১৬ ডিসেম্বর ৯. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকালে রোদের আলো ছড়ালেও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফের মতো ঠান্ডা। এতে করে নি¤œ আয়ের মানুষগুলো শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকালে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নি¤œ আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষদের কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
তেলিপাড়া গ্রামের সখিনা খাতুন জানান, কুয়াশা না থাকলেও প্রচন্ড ঠান্ডা। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালী করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
চা শ্রমিক হাসানসহ কয়েকজন জানান, কনকনে শীত। প্রচন্ড এ শীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করবো, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা চিকিৎসরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, মঙ্গলবার সকালে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনি¤œ। গত চারদিন ধরেই ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে মৃদু থেকে মাঝারি তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিন্
ি