হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ কনকনে ঠান্ডা হিমেল বাতাস বইছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। দেশের এই জেলাটি হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় এই জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। এরইমধ্যে গত ৬ দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না এই জেলাতে।
সোমবার জেলাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯:৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বেশি কাবু হয়েছে শিশু ও বয়স্করা। এমন কনকনে শীতের রাতে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় শীত বস্ত্র (কম্বল) নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত অসহায় শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করে। রোববার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের বাওনা আদর্শ গ্রাম ও মনশাপুর আশ্রায়ন এবং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বৈগ্রাম আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত অর্ধশতাধিক অসহায় শীতার্ত পরিবারের পাশে শীত বস্ত্র (কম্বল) নিয়ে হাজির হন মানবিক ইউএনও অমিত রায়। পরে তিনি অসহায় শীতার্ত পরিবারের সদস্যদের শীত বস্ত্র কম্বল গাঁয়ে দিয়ে জড়িয়ে দেন। এ সময় আলিহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, ইউপি সদস্য হারুন উর রশিদ, ইমরান আলী, বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য বকুল হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। কনকনে শীতের রাতে কম্বল পেয়ে সুইটি বেগম বলেন, রাতে ভাত খেয়ে সরকারি ঘুরে শুয়ে আছি হঠাৎ গাড়ির শব্দ। ঘুম থেকে উঠে দেখি ইউএনও স্যার কম্বল নিয়ে আমাদের আদর্শ গ্রামে এসেছেন। কনকনে শীত ও ঠান্ডা বাতাস বইছে এমন সময়ে গরমের কাপড় কম্বল পেয়ে আমি খুবই খুশি। ইউএনও অমিত রায় জানান, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত মানুষগুলো এমনিতেই অসহায় ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। তাই জেলা প্রশাসক শাকিল আহম্মেদ এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার আগে এদের মাঝে বিতরণ করতেছি। দিনের বেলায় এ সকল লোকজন বিভিন্ন জায়গায় পেটের দায়ে কাজে ব্যস্ত থাকে বলে রাতের বেলায় খুঁজে খুঁজে তাদের হাতে কম্বল দিচ্ছি। আজ ৬০ জন শীতার্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি। ইতোমধ্যে উপজেলার একটি পৌর সভা ও তিনটি ইউনিয়নে আশ্রায়ন প্রকল্প সহ দুই হাজার শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ কম্বল বিতরণ চলমান থাকবে বলে উল্লেখ্য করে সমাজের বৃত্তবানদেরকে এসকল অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।