দিনাজপুরের এক বাড়ীতে ছদ্রবেশে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে আনা নারীদের নিয়ে চলে রমরমা ব্যবসা। আবার সেই নারীদের দিয়েই মাঠ পর্যায়ে ঘুরে বেড়িয়ে পুরুষদের যৌনকাজে লিপ্ত হতে আহবান জানানো হতো। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে আগত পুরুষদের আটকে নেয়া হতো মুক্তিপণ। এমন সব অভিযোগের ভিত্তিতে দিনাজপুর শহরের লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী থেকে একটি আবাসিক ভবন থেকে ৪ নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটককৃত ৪জনসহ পলাতক আরেক নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ।
গত শুক্রবার রাতে দিনাজপুর শহরের লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী থেকে একটি আবাসিক ভবন থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, দিনাজপুর পৌর ৬নং ওয়ার্ডস্থ লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী এলাকার উমর ফারুক ও সালমা ফারুকের মেয়ে এবং আব্দুল বারীর স্ত্রী মোছা. সাজিয়া ওরফে উর্মি (৩২), পৌর ৮নং ওয়ার্ডস্থ বালুবাড়ি পানির ট্যাংকি মোড় এলাকার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান সুভনের স্ত্রী নবমুসলিম ফাতেমা বেগম ওরফে বর্না (৩০), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরবাদুর তলা এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের মেয়ে আলেয়া খাতুন (২৭), চট্রগ্রামের পাহারতলী ঈদগাহ বউ বাজার এলাকার মো. ইসহাকের মেয়ে নাদিয়া আফরিনও পলাতক লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী এলাকার উমর ফারুকের স্ত্রী এবং আটক মোছা. সাজিয়া ওরফে উর্মির মা সালমা ফারুক (৪৫)।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এএফএম মনিরুজ্জামান মন্ডল জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, শহরের লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী এলাকার আটককৃত উর্মির বাড়িতে পতিতাবৃত্তির লক্ষ্যে জেলার বাহির থেকে এনে গোপনে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে কয়েকজন নারীদের দিয়ে খদ্দেরকে ডেকে এনে দেহ ব্যবসা করে আসছে। ঐ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪জন নারীকে আটক করতে সক্ষম হই। তবে এ ঘটনায় আটককৃত উর্মির মা সালমা ফারুক কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে তিনি নিজেই বাদী হয়ে ২০১২সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৪৩।