সোমবার দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে কলেজের অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, দোয়া-মাহফিল ও রাজবাটি সুখসাগরে গণহত্যার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১টায় দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ এর অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফরিদা পারভীন।
প্রধান আলোচ্যক হিসেবে গণহত্যা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী ছায়েদ। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক একেএম রশিদুল হাসান মানিক। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ তারেকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণহত্যার লোম হর্ষক ঘটনার চিত্র তুলে ধরেন। প্রতিটি গণহত্যারই বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবী জানিয়ে বলেন, ২৫মার্চ এই দিনে পাক সেনারা রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দেশের জ্ঞানী-গুনি, বুদ্ধিজীবীদের মেধা শূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে নির্বিচারে হত্যা করে।
প্রধান আলোচ্যক হিসেবে আলোচনা করতে গিয়ে ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী ছায়েদ বলেন, ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে কোনো গণহত্যার বিষয় নিয়ে আপোষ করা যাবে না। সে আলোকে বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। আমাদের একাত্তরের গণহত্যার বিষয়টি অবশ্যই আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানের শাসকদের বিচার হওয়া উচিত এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিক গণহত্যার বিষয়টি স্বীকৃতির জন্য সরকার ও জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। পরে দুপুর ১২টায় রাজবাড়িস্থ গণহত্যার স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় ইতিহাস সম্মিলন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক বিধান দত্তসহ দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।