বিরল (দিনাজপুর)প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের বিরলে পলিনেট হাউজের মাধ্যমে সকল ফসলের মানসম্পন্ন ও চাহিদাসম্পন্ন চারা এখন এক ছাদের নীচে পাওয়া যাচ্ছে।
গত দুই বছর ধরে এই মানসম্পন্ন চারার চাহিদা পুরণ করে চলেছে বিশ্বমানের দুটি পলিনেট হাউজ। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (ডিএই পার্ট) প্রকল্পের আওতায় বিশ্বমানের এই পলিনেট হাউজ দুটি করা হয়েছে একটি উপজেলার ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়নে এবং অন্যটি ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই পলিনেট হাউজ দুটি থেকে এক মৌসুমে তিন লক্ষ আশি হাজার থেকে প্রায় চার লক্ষ চারা উৎপাদন হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিরলের কৃষক ভাইয়েরা বর্তমানে বীজ কেনেন না বরং তারা সরসারি পলিনেট হাউচ থেকে মানসম্পন্ন বিভিন্ন উচ্চমূল্যের চারা ক্রয় করে থাকেন। এই চারা শুধুমাত্র বিরলের চাহিদাই পূরণ করছে এমন নয়। পাশাপাশি নীলফামারী, রংপুর, ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জেলার চাহিদাও পূরণ করে চলেছে। আমাদের পলিনেট হাইজে উৎপাদিত চারা মাটি ব্যাতীত সরাসরি কোকোপিটে, জৈবসারের মাধ্যমে উৎটাদন হয়ে থাকে। এই চারা মারা যাওয়ার হার প্রায় শূন্য। কৃষক প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের চাহিদা জানালে সেঅনুযায়ী এই পলিনেট থেকে চারা উৎপাদন করে দেওয়া সম্ভব।
তিনি জানান, এই পলিনেট হাউজ দুটির কারণে অতীবৃষ্টি, বন্যা, খড়া, তীব্র শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যগ থাকলেও বিরলে কৃষক অনেকটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। বিশ্ব ব্যাংকসহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের টিম বেশ কয়েকবার এই পলিনেট হাউজ দুটি পরির্দশন করেছেন।