বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কয়কদিনের প্রচণ্ড রোদ, ভ্যাপসা গরম ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অসহ্য হয়ে উঠেছে জনজীবন। অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষগুলো। প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে রোজাদার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। শনিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা আবহাওয়া অফিস বলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গত সোমবার বীরগঞ্জে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না মনুষ। বীরগঞ্জ পৌরশরের সড়কগুলোতে রোদের তাপে যানবাহন চলাচলও কমে গেছে। রিকশা-ভ্যান চালক সহ দুর্ভোগ বেড়েছে ঘেটে খাওয়া মানুষের। ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত আয়ের প্রয়োজন হলেও এই গরমে কাজ করা ককষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে তারা। চলছে রমজানের শেষ দিকের সময়। শুরুটা সহনীয় পরিবেশে হলেও এসময়ে তীব্র গরমে রোজাদারদের কষ্ট বেড়েছে।
এদিকে গরমের প্রভাব পড়েছে আসন্ন পয়লা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটায়। মার্কেটগুলোতে দিনের বেলায় লোক সমাগম কমে গেছে। তাপমাত্রা কমলে সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ছে বিপণীবিতানগুলোতে।
শ্রমজীবী বজলু বলেন, ভ্যাপসা গরমে জীবন শেষ। গরমে অস্থির লাগছে। গরমের কারণে দিনের শুরুতেই রোজা লেখে যচ্ছে। যারা প্রচন্ড কায়িক পরিশ্রম করেন তাদের অবস্থা আরো খারাপ। তাপমাত্রার পাশাপাশি বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবনে চরম বিপর্যস্ত নেমে এসেছে। রিকশা চালক রহিম জানান,হঠাৎ করে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে অনেকটা জনশূন হয়ে পড়েছে। তাই আয় রোজকার কমে এসেছে। সামনে ঈদ সন্তানদের জন্য এখন পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারিনি।