খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ পবিত্র ঈদুল ফিতরে বিনোদনের কেন্দ্র হয়ে দাড়িয়েছে আত্রাই নদে নৌকা ভ্রমন। ছুটি উপভোগে ঈদের দিন বিকাল থেকে দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এতে বাড়তি আয়ে খুশি নৌকার মাঝিরা। ঈদের দিন বিকালের পর খানসামা ঘাটপাড়ে বাড়তে থাকে ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনা। যা আজও বিরাজমান।
মাঝি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন নদী পথে চলাচল অনেক কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ মাঝিই পেশা পরিবর্তন করেছেন। যাঁরা এখনো টিকে আছেন, তাঁদের অবস্থাও শোচনীয়। তবে আজকের দিনটি তাঁদের জন্য ছিল আনন্দের।
খানসামা উপজেলার খামারপাড়া, বেলপুকুর ও পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জের তুলশীপুর গ্রামের মাঝিরা প্রায় ২০টি নৌকা দিয়ে এদিন জনপ্রতি ২০ টাকার বিনিময়ে নৌভ্রমণ করিয়েছেন। নৌকাগুলো অন্য সময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়।
খামারাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিমল দাস মাঝি বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি ঈদ ও উৎসবে আমরা নৌকায় যাত্রীদের পারাপার করি। এতে দিনে ৮০০-৯০০ টাকা আয় হয়। ঈদের দু-তিন দিন পর্যন্ত এমন আয় হয়।’
বেলপুকুর গ্রামের মাঝি সুজন দাস বলেন, ‘আমাদের আয়ের উৎস কমে গেছে। ঈদের দু-তিন দিন এমন ভিড়ে কিছু আয় করা সম্ভব হয়।’
নৌকায় করে নদে ঘুরে আসা শাকিল আহমেদ নামে এক যুবক বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় ঘুরতে যাওয়ার জায়গা কম। তাই নদের পাড়েই সবাই আসে। তবে গাড়ি পার্কিং ও মানসম্মত খাওয়ার হোটেলসংকট থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
খানসামা থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থানা-পুলিশ পোশাকধারী ও সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করছে। বেড়াতে এসে যেন কেউ হয়রানির স্বীকার না হয়।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.তাজ উদ্দিন বলেন,ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ঘাটপাড়ে বসার স্থান ও দর্শনীয় স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, কাজ শেষ হলে এটি এই এলাকার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হবে।’ খানসামা শিশুপার্কেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।