পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ গত দুইদিন ধরে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী তাপপ্রবাহ। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও বিকেল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৩৮.২ ডিগি সেলসিয়াস। ক্রমাগতভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সকালে কাজে বের হওয়া মানুষগুলো প্রচন্ড গরমে টিকতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসে দুপুরের আগেই। তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়লেও কমছে রাতের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। গতকাল বুধবার সকালে দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এর আগের দিন মঙ্গলবার এখানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা প্রখর রোদ আর পশ্চিমা ল্যু হাওয়ার কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও সন্ধ্যার পরই হঠাৎ পরিবর্তন হয় আবহাওয়া। উত্তরের বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শরীরে এনে দেয় শান্তির পরশ। মধ্যরাতের পর বন্ধ রাখতে হয় ফ্যানের সুইচ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা অনেক কমবেশি হওয়ায় বাড়ছে বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাই। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। হাসপাতালে বেড়েছে রোগির চাপ। এই সময়টাতে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃদ্ধ ও শিশুদের ঘরেই অবস্থান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে তীব্র গরম থেকে মুক্তি আশায় পঞ্চগড়ে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের তালমা ঈদগাহ মাঠে ঘন্টাব্যাপী ওই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে জড়ো হন স্থানীয় মুসল্লিরা। নামাজ শেষে সকলেই মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চেয়ে এবং তীব্র গরম থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টি চেয়ে কান্নাকাটি করেন। নামাজে ইমামতি করেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. আইয়ুব বিন কাসেম।