বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: সারা দেশের ওপর বয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ। অস্বস্তি থেকে একটুখানি শান্তির পরশ পেতে শিশুকিশোরেরা বৈশাখ মাসের ১৫ দিন পেরিয়ে আজ ১৬ তম দিন। এপ্রিল মাস শেষ হতে বাকি আরও এক দিন।এরই মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। সামনের দিনেও তাপমাত্রার পারদ খুব একটা নামার আভাস নেই। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গত কয়েক দিন থেকে বেড়েছে তাপমাত্রা, যার ফলে বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। এই উপজেলায় ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না মানুষ। কিন্তু জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের রোজগাকার জন্য বাহিরে বের হতে হচ্ছে। প্রচণ্ড রোদ আর গরমের কারণে আয় কমেছে রিকশা, অটোচার্জার চালকদের। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিজয় চত্বরসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় লোক সংখ্যা অনেকটাই কম। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রিকশা, ভ্যান ও অটোচার্জার নিয়ে বসে বসে সময় পার করছেন চালকরা। বীরগঞ্জ তাজ মহল মোড়ে বসে থাকা কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে তাদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ, সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত যাত্রী কিছুটা দেখা মিললেও দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তেমন যাত্রী বা মানুষের দেখা মিলছে না। ফলে তাদের আয় অনেকটাই কমে গেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়াতে সামান্য আয় দিয়ে তারা সংসার চালাতে পারছেন না বলেও জানান।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে বীরগঞ্জে গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতালে তবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। প্রতিদিন ২/১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন। এই গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।
সোমবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার।