শনিবার , ৪ মে ২০২৪ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে হাতপাখা শিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে !

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মে ৪, ২০২৪ ১০:০২ অপরাহ্ণ

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখন শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন মানুষ। আর সে জন্যই কদর বেড়েছে হাতপাখার। আর এই চাহিদা মেটাতে পাখা তৈরির ধুম পড়েছে এলাকাগুলোতে । পাখার চাহিদা মেটাতে কারিগরেরা সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। কয়েক বছর আগেও গরমের দিনে হাতপাখাই ছিল সহায়। ঘরে ঘরে ছিল এর কদর। এখন বৈদ্যুতিক পাখা আর এয়ার কন্ডিশনের দাপটে কমেছে হাতপাখার ব্যবহার। তবে এবারের টানা তাপপ্রবাহ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চাহিদা বেড়েছে হাতে তৈরি পাখার। ব্যস্ততাও বেড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার হাতপাখা শিল্পীদের। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামটি হাতপাখার গ্রাম বলে পরিচিত। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ছোট বড় সকলেই এ পেশার সাথে জড়িত। লস্করা গ্রামে এখন হাতপাখা তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। কেউ বাঁশ আনছেন, কেউ বুনছেন, কেউ করছেন রং, আর নারীরা তাতে ফুটিয়ে তুলছেন বাহারি রকমের ডিজাইন। তালপাখা, বাঁশের পাখা ও সুতার পাখা তৈরি করেন তারা। হাতপাখা তৈরি করেই স্বাবলম্বী গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার। বাড়ির কাজের পাশাপাশি হাতপাখা তৈরি করে থাকেন গ্রামের নারীরা। স্কুলের অবসরে শিশু-কিশোররাও কাজ করে। বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন পুরুষরা। পাইকারি দরে একটি পাখা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গরমের দিনে অল্প দামের এই পাখাতেই গ্রামীণ মানুষের আস্থা।
তবে বাঁশ, সুতা সহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখছে না পাখা তৈরির কারিগরেরা। মুদি দোকানি বিশ্বজিৎ বলেন, একদিকে গরম অন্যদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। হাতপাখার দাম কিছুটা বেড়েছে। আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হয়। তবে হাতপাখায় স্বস্তি পাওয়া যায়। ইসলাম বলেন, গরম আর বিদ্যুৎ লোডশেডিং দুটোতেই মানুষ অতিষ্ঠ। বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ চার্জার ফ্যানও কাজ করে না। সে জন্য হাতপাখাই এখন ভরসা। হাতপাখার বাতাস অনেক ঠান্ডা।
স্কুল শিক্ষার্থী মলিন চন্দ্র বলেন, আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি পাখা তৈরির কাজ করি। গরমে স্কুল বন্ধ, খেলাধুলা করা যায় না। সে জন্য বসে বসে আমরা পাখা বানাই। যা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের হাত খরচের টাকা হয়ে যায়। হাতপাখা কারিগর চন্দনা রাণী বলেন, আমরা সংসারের কাজের পাশাপাশি এই হাত পাখা তৈরি করি। এভাবে আমাদের কিছু আয়। এতে সংসারে উন্নতি হয়েছে। আমরা মহিলারা পাখা বানাই আর পুরুষেরা সেই পাখা বিক্রয় করে। আমরা এ গ্রামের সবাই এই পেশার সাথে জড়িত।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে হাতপাখা তৈরির কাজ করছি। গরম কম হোক আর বেশি হোক এটা আমাদের পেশা।
ব্যবসা আর টুকটাক কৃষির পাশাপাশি আমাদের গ্রামের সবাই এ পেশার সাথে জড়িত। সকলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা পাখাগুলো পাঠাই। তবে আমাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে এর পরিধি আরো বাড়ানো যাবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহ বেশি হওয়ায় হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

উত্তর তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদ এবং দিনাজপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘মতিহারের কবি ও কবিতা’ গ্রন্থটির মোড়ক  উন্মোচন ও সাহিত্যের আড্ডা অনুষ্ঠিত

উত্তর তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদ এবং দিনাজপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘মতিহারের কবি ও কবিতা’ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন ও সাহিত্যের আড্ডা অনুষ্ঠিত

চিরিরবন্দরে উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের  পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ছাত্র-জনতার

চিরিরবন্দরে উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ছাত্র-জনতার

সহকারি শিক্ষকপদে নিয়োগ জটিলতা নিরসনের দাবীতে দিনাজপুরে মানববন্ধন

হিলিতে মানববন্ধন, ২ ঘন্টা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বীরগঞ্জে হিমাগারগুলোতে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বোচাগঞ্জে রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মাস্ক বিতরন

পীরগঞ্জে পাট উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক কর্মশালা

ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

খালেদা জিয়া করোনা পরীক্ষার নমুনা ‍দিলেন