কাহারোল (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ-কাহারোলে জমির মাটি উর্বরতা গিলে খাচ্ছে ইট ভাটা।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কৃষিবিভাগ ও প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারী এর ফলে দিন দিন ইট ভাটার পেটে যাচ্ছে জমির মাটি সহ উপরি ভাগের অংশের উর্বরতা। এ সর্ম্পকে সচেতনামূলক নেই কোনো প্রচারাভিযান। এই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দশটি ইটভাটা রয়েছে বিভিন্ন স্থানে।দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার আবাদি জমির উপরি ভাগের উর্বর মাটির একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে ইট ভাটায়। দেখা গেছে, সংসারে অভাব অনটন ও অর্থের অভাবে জমির মালিকরা স্বল্প মূল্যে জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছে ইট ভাটার মালিকের কাছে।এ কারণে মাটির উর্বরতা দিনদিন কমে যাচ্ছে এই উপজেলায়। ফলে জমিতে উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। কিন্তু গবেষকদের আশংকা বাস্তবে জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে আরো অনেক বেশি।মাটির উপাদান হ্রাস পাওয়ায় কৃষি ও পরিবেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশংঙ্কা করা হচ্ছে। অত্র উপজেলার সফল কৃষক পুনিল চন্দ্র রায় জানান, মাটির উপরি ভাগের জৈব উপাদান থাকলেও মালিকরা জৈব উপাদান যুক্ত মাটিবিক্রি করায় স্বাভাবিক উৎপাদন কমতে শুরু করেছে ফসলের। এ কারণে উপজেলায় আমন, বোরো রবিশস্য উৎপাদন দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে বলে অনেক কৃষকের ধারণা।জানা গেছে,গ্রামের দরিদ্র কৃষকেরা অর্থাভাবে আবার কেউ কেউ সচেতনতার অভাবে ফসলি জমি উর্বর মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করছেন মোটা অংকের অর্থের লোভে। উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন কৃষি গবেষকরা জানান, কৃষি জমির উর্বর অংশ ক্ষুবই গুরুত্ব পূর্ণ ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে। এইভাবে কৃষিজমির টপ সয়েল উঠে গেলে আগামীতে ফসল উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়ে ফসল উৎপাদন কমে যাবে।এদিকে কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকারানী সেহানবীশ জানান, ফসল ফলানোর জমির উপরিভাগ ১০ থেকে ২০ ইঞ্চি পরিমান মাটি উর্বর। এই মাটির সাথে জৈব উপাদান রয়েছে।ফসলি জমিতে ৫ শতাংশ জৈব সার থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে আছে মাত্র ১শতাংশর মতো।কৃষকেরা ক্ষতির বিষয় টিনা জেনে অর্থের লোভে ফসলি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করছেন। আর কৃষি জমির মাটির বিক্রয় বিষয়টি আমরা সবসময় নিরুৎ সাহিত করে থাকি জমির মালিকদেরকে।