মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াঘাটে চাল ও বস্তার টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে খাদ্য কর্মকর্তা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মে ৭, ২০২৪ ১০:০৪ অপরাহ্ণ

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ আনুমানিক পৌনে ২ কোটি চাল ও বস্তার টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে গেছেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগি এলএসডি’র সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছাঃ আনোয়ারা বেগম (৫৯)। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১কোটি ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ২ শত ৫৯ টাকা মূল্যের ৩১৯.১৪১ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৮ লাখ ৫হাজার ২০ টাকা মূল্যের ৪২৭৮ টি খালি বস্তা আত্মসাৎের অভিযোগে আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৭মে)তদন্ত কমিটির প্রধান ও সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্তক মোহন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আলোচিত এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গুদামে ৩১৯.১৪১ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি পায়।
অভিযুক্ত আনোয়ারা বেগম তিনি এই স্টেশনে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন আর মাত্র দুই মাস পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার। তার জায়গায় যোগদানের অনুমতি মিলে রায়হান নামে আরেক খাদ্য কর্মকর্তার। নতুন কর্মকর্তাকে গোডাউনের চার্জ বুঝে দেওয়ার আগেই কাউকে কিছু না বলে গত ২৫ এপ্রিল খাদ্য গুদাম তালা দিয়ে চাবি নিয়ে গা ঢাকা দেন আনোয়ারা বেগম। এ ঘটনায় গুদামে চালের ঘাটতি রয়েছে এমন সন্দেহে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
গত বৃহস্পতিবার ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে গুদামের তালা ভাঙ্গা হয় এবং সেই দিন থেকে শুরু করে শুক্রবার একদিন বাদ দিয়ে সোমবার পর্যন্ত টাকা চারদিন তদন্ত কমিটি বাস্তব মজুত যাচাই করেন। এতে চাল রেকর্ডে থাকার কথা ১০৬৪.১৫৫ মেট্রিক টন কিন্তু মজুদ পাওয়া যায় ৭৪৫.০১৪ মেট্রিক টন। ঘাটতির পরিমাণ ৩১৯.১৪১ মেট্রিক টন। আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ প্রতি মেট্রিক টন ৫২ হাজার ৪ শত ৭১ টাকা হিসেবে ৩১৯.১৪১ মেট্রিক টনের মূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ২ শত টাকা। অন্যদিকে ৫০ কেজি ওজনের খালি বস্তা ঘাটতি পাওয়া যায় ৪,২৭৮ টি। প্রতিটি ৯০ টাকা হারে মূল্য ৩৮ লাখ ৫ হাজার ২০ টাকা। মোট আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ২ শত ৭৯ টাকা।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদ জানান, টানা চার দিন তদন্ত কমিটি বাস্তব মজুত যাচাই করে বিশাল অংকে ঘাটতি পেয়েছে। মঙ্গলবার খাদ্য গুদামে মজুতকৃত চালের ঘাটতি পাওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট আকারে পেশ করা হবে। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকে বাদী করে আনোয়ারা বেগমের নামে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত