দিনাজপুরে বিকাশ ঋষি নামে যুবকের হাসুয়ার কোপে নিহত হয়েছেন গণেশ ঋষি নামে এক আদিবাসী বৃদ্ধ। এসময় গণেশকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আরো দু’জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিকাশ ঋষি নামের ওই যুবককে আটক করে মারধর করে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মারা যায়। স্থানীয়রা বললেন, অভিযুক্ত যুবক একজন মানসিক ভারসাম্যহীন।
এর আগে শুক্রবার বিকালে দিনাজপুর সদরের শেখপুরা ইউপির উত্তর জয়দেবপুর মুশোহরপাড়া এলাকায় গনেশ ঋষিকে ধারালো হাসুয়া (দা) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিকাশ ঋষি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই এলাকার পরসাধু ঋষির ছেলে সরেশ ঋষি (৩০) ও হরেন ঋষি। সরেশ বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত গনেশ (৬০) সদর উপজেলার শেখপুরা ইউপির উত্তর জয়দেবপুর মুশোহরপাড়ার মৃত আতোয়ারীর ছেলে।
অভিযুক্ত বিকাশ (৩৫) সদরের একই এলাকার মেহের চাঁদের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে লাঠি নিয়ে মানুষকে ধাওয়া ও হামলা করে আসছিল। গত দু’দিন হলো একটি হাসুয়া নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পেত না। অবশেষে এই হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ হোসেন জানান,শুক্রবার বিকালে সদরের শেখপুরা ইউপির উত্তর জয়দেবপুর নিজ বাড়ীর বাইরে বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ গনেশের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আঘাত করে একই এলাকার বিকাশ। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গনেশ। ঘটনার সময় গণেশকে রক্ষায় এগিয়ে এলে সরেশ ঋষি ও হরেন ঋষিকেও কুপিয়ে জখম করে বিকাশ। উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্বজনরা।
তিনি আরও জানান, এঘটনায় বিকাশকে পিটুনি দিয়ে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিকাশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিকাশ ঋষির মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা বলছেন বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। হত্যাকান্ডের কাজে ব্যবহৃত হাসুয়া জব্দ করা হয়েছে।