বুধবার , ৫ জুন ২০২৪ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদীর পাড়ে ‘ক্যাম্বেল’ জাতের হাঁসের খামার বদলেছে ফারুকের জীবন

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুন ৫, ২০২৪ ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ছোট যমুনা নদীতে নামছে ঝাকে ঝাকে হাঁস।আবার কিছুসময় পর খাবারের পাত্র হাতে যখন আয়, আয়, বলে ডাকছে তখন হ্যামিলিওনের বাঁশিওয়ালার মতো ঝাকে ঝাকে পাড়ে ছুটে আসছে ওইসব হাঁস। এই দৃশ্য দেখার জন্য অনেকে আসছে এই নদীর পাড়ে হাঁসের খামার দেখতে।
অন্যদিকে তিনবছরেই ক্যাম্বেল জাতের এই হাঁসের খামারই বদলে দিয়েছে জহুরুল ইসলাম ফারুকের জীবন। অর্থনৈতিক সংকটকে পিছনে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় নদীর পাড়ে এই খামার করে বাজিমাত করেছে জহুরুল ইসলাম ফারুক। আর একাজে পাশে থেকে সবসময় সহযোগিতা করেছে তার স্ত্রী মোছাঃ জেবা বেগম।
এখন এই খামার থেকে তিনি হাঁস এবং ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে খরচ বাদ দিয়ে আয় করেন ৭০-৮০হাজার টাকা। হাঁস দেখাশুনার জন্য ২জন কর্মচারী আছে যাদের মাসিক বেতন দেয়া হয় ২২হাজার টাকা। নদীতে থাকা শামুক, মাছসহ প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে থাকে এসব হাঁস। এতে হাঁসের ডিমে পুষ্টিগুণাগুন থাকে ভালো। নদীর পাড়ে খামার হওয়ায় হাঁস পালনে খাবারের খরচ কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবেও লাভবান হয়েছেন তিনি।
প্রায় তিনবছর আগে নেত্রকোনা থেকে ডিমপাড়া ৭০০ হাঁস কিনে এনে খামার শুরু করেন। শুরুতেই তার আনুষাঙ্গিক ব্যয় হয় ২লাখ ৮০হাজার টাকা। পরে কিছু হাঁস বিক্রি করেছেন ৬০০টাকা পিচ দরে। আবার গত ফেব্রæয়ারীতে বগুড়ার আবু সাঈদ হাঁসের খামার থেকে ৮৫০টি ১দিনের বাচ্চা ২৯ টাকা করে কিনে এনেছেন। নদীর পাড়ে বর্তমানে তার খামারে ১০০০টি ক্যাম্বেল জাতের হাঁস রয়েছে। প্রতিদিনের পাওয়া ডিমগুলো ১৬-১৭ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করেন তিনি।
নদীর পাড়ে সাময়িক শেড করে পালনে তার পাশে অস্থায়ী ঘর করে নিজেই রাতে থাকেন। তবে নদীর পানি বাড়লে বাড়ীর পাশে বিলের মাঝখানে স্থায়ী শেড নির্মান করেছেন। এ্খানে ডিম পাড়ে এমন ৮০০ হাঁস রাখা হবে। হাঁসের খামারে সাফল্য পেয়েছে ফুলবাড়ীর দৌলতপুর ইউপির জানিপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ফারুক। হাঁস পালন করে সফলতা অর্জনই তার ভাগ্যকে বদলে দিয়েছে। খরচ কমাতে বাড়ীর পাশে বিরামপুরের পলিপ্রয়াগপুর ইউপির জোতজয়রামপুর এলাকায় ছোট যমুনা নদীর পারে তার অস্থায়ী শেডে হাঁসের খামার জহুরুল ইসলাম ফারুকের।
এ ব্যাপারে খামারী জহুরুল ইসলাম ফারুক বলেন,‘ক্যাম্বেল’ জাতের একটি হাঁস তিনমাস একাধারে ডিম দিয়ে থাকে। ১৫-২০দিন বিরতি দিয়ে আবারও ডিম দেয়। হাঁসের বয়স ১৭-২০মাস হলে ওরা ডিম কম দেয়,তখন ওগুলো বিক্রি করে দেয়। ডিমগুলো ১৬-১৭টাকা দরে পাইকারী বিক্রি হয়। বর্তমানে হাঁসসহ আনুষাঙ্গিক খরচ হয় গড়ে প্রতিমাসে ৮০হাজার টাকা। পাড়ে ৮০-৯০ দিনের জন্য সাময়িক শেড করায় নদীতে থাকা শামুক, মাছসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায় খাবার খরচ কম লাগে। হাঁস এবং ডিম বিক্রি করে প্রতিমাসে খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৭০-৮০হাজার টাকা। নদীতে সারাদিন হাঁসের ঝাঁক নিয়ে থাকেন তার সম্পর্কে ভাগ্নে ছায়রুদ্দিন। হাঁস শেডে পৌঁছানোর পর পরিচর্যার দায়িত্ব পড়ে জোবায়ের ও ছায়রুদ্দিনের। আর হাঁসের ওষুধ খাবার কেনা ও ডিম বিক্রির বিষয়টা দেখি আমি নিজে। এটাই নিত্যদিনের কাজ।
তিনি বলেন, শুরুটা সহজ ছিল না, ধৈর্য্য আর কঠোর পরিশ্রমের ফল এই খামার। স্বল্প পুজি নিয়েও হাঁসের খামার করা যেতে পারে বলে। বিশেষ করে পুকুর, ডোবা অথবা খাল-বিলের পাশে খামার গড়ে তোলা উচিত। অনেকে হাঁসের রোগ বালাই নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে হাঁসের রোগ নির্মূল করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
বিরামপুর উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড.বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিরামপুর উপজেলায় দিন দিন খামারী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এ পর্যন্ত ৩৪টি খামার রয়েছে বলে। নদী, খাল-বিলে ভরা এ উপজেলায় হাঁস পালন ব্যাপক সম্ভাবনাময়।প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাঁস পালনকারীদের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বীরগঞ্জে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ

বোচাগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আফছার আলী আটক

দিনাজপুরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির শিক্ষকদের এক ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

রাণীশংকৈলে ইউএনও অসুস্থ্য ঢাকা ন্যাশনাল হার্ড ফাউন্ডেশন হাপাতালে ভর্তি

পুজার্চনা ও ধর্মীয়-ভাবগাম্ভির্যে শেষ হলো দিনাজপুরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহা¯œানযাত্রা উৎসব

উত্তরণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও পাঠাগারের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

পীরগঞ্জ কৃষি সমবায় সমিতির সাধারণ সভা

হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে ড্রোন উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় শনাক্ত ৬৩ শতাংশ