বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের উপজেলায় বর্ষাকালে বৃষ্টির দেখা না মিললেও, শেষের দিকে এসে হাজির হয়েছে কালো মেঘের অবিরাম বর্ষণ। আষাঢ়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দিন-রাত ঝরছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। টানা বর্ষণের কারণে বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ কাঁচা রাস্তাগুলো হাটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষদের ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে।
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলার অন্যান্য উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও, অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভোগনগর, পাল্টাপুর, শিবরামপুর, সুজালপুর ও মোহনপুর ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তাগুলো। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বৃষ্টিতে হাটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে এ রাস্তা। যা একদমই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে এই ভোগান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার
সেচ্ছায় রাস্তা সংস্কার করছে। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার কাদায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচল এবং কৃষককদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগে বেড়েছে। শুধু তা-ই না, অসুস্থদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতেও বিড়ম্বনায় পড়েছে।
সরকারি উদ্যোগ না থাকায় নিরুপায় হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করছে এলাকাবাসী।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলো পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেই, এমন অভিযোগ করে সুজালপুর ইউনিয়নের সতীশ চন্দ্র বর্মন বলেন, সুজালপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী- মানকিরিয়া কাঁচা সড়কগুলোর বেহাল দশা। পাকাকরণ ও সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচল করা যায় না। এতে এলাকার মানুষকে পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে।
এ বিষয়ে ভোগনগর ইউনিয়নের ভাবকী গ্রামের মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমরা খুবই অবহেলায় আছি। এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে আমাদের হাঁটু কাঁদায় চলতে হয়। সরকার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার কথা ঘোষণা করলেও উপজেলোর বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়কের অবস্থা বেহাল। অনেকবার আবেদন করার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে আমাদের রাস্তার কাজ মাপযোগ এবং পরিদশর্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করা হয়নি।’
উপজেলার ব্রিজ কালভার্টের উন্নয়ন হলেও অবহেলিত রয়ে গেছে গ্রামীন সড়কগুলো। জরুরিভিত্তিতে রাস্তাগুলো সংষ্কারসহ পাকাকরণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশলী জিবরীল আহমেদ বলেন, গ্রামীণ সড়কগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাকাকরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের এক সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ৯৮০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে ২৫৫ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। বাকি সড়কগুলো বিভিন্ন প্রকল্পে পাকাকরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।