চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ১১ বছর আগের চাঁদাবাজি ও উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলাটি করেছেন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা। মামলাঢ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৫৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক রাশেদুজ্জামান স্মৃতি বাদী হয়ে ১১ বছর আগে তাঁর নিকট চাঁদাবাজি ও উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর এ মামলার আসামীরা ব্যবসায়ী ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাশেদুজ্জামান স্মৃতির নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জোরপূর্বক ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। ওই মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়-২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন উপজেলার পাকেরহাটে উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং মামলার বাদী রাশেদুজ্জামান স্মৃতিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা শারীরিক নির্যাতন করেন।
মামলার এজাহারে আসামীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক ডাকসু সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদ জামান, গোয়ালডিহি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ, হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোনায়েম খান, আলোকঝাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেশ্বর রায়, উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক রাকেশ গুহ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের আহŸায়ক সুশান্ত মহন্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহŸায়ক মোস্তাওফিক আহমেদ শামীম ও আবু হেনাসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
মামলার বাদী রাশেদুজ্জামান স্মৃতি বলেন, নির্যাতনের স্বীকার হয়েও এতদিন আওয়ামী লীগের অত্যাচারে আইনের দ্বারস্থ হতে পারিনি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার নামীয় আসামীদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।