হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা এবং প্রোভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.শফিকুল ইসলাম সিকদার।
বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড.এম. জাহাঙ্গীর কবির। মতবিনিময় সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এ সময় কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন মো. বেলাল হোসেন, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, মো.সাইফুল, মো. ওবাইদুর রহমান, আনোয়ার পারভেজ, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আব্দুল হাকিম লেবু। সঞ্চালনা করেন হিসাব শাখার ইস্যু ক্লার্ক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই প্রোভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার জুলাই বিপ্লবে নিহত সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রæত রোগমুক্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, এখানে আমরা তিনজনই নতুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন বা নিয়ম সবগুলো এখনও আমাদের পুরোপুরি জানা হয়নি, এ বিষয়ে আমরা জানার চেষ্টা করছি। এখানে উপস্থিত অনেকের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়, আমি জানিনা আপনাদের কতটুকু উপকার করতে পারবো, তবে চেষ্টার কোন কমতি থাকবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা উপস্থিত কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হলেন প্রশাসনের গ্রাসরুট লেভেলের প্রাণকেন্দ্র। আমরা শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াই, অফিসাররা অফিসিয়াল ও ফাইলের কাজ করে, কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করা হয় আপনাদের মাধ্যমে। এখন আপনারা যদি সুখে-শান্তিতে থাকতে না পারেন, আপনাদের জীবন যাত্রার মান যদি উন্নত না হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি হবে না। তিনি আরও বলেন, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, এসব আইন ও নীতিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য বা অন্যায় হয়ে থাকলে সেটি আমরা দেখবো। আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনারা যে মতের, যে আদর্শেরবা শ্রেণীরই হোননা কেন, কারো সাথেই কোন রকমের বৈষম্য হবেনা। তাই সবাই সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবেন। জুলাই-আগস্ট এর বিপ্লবকে ধারণ করবেন, এই আন্দোলনে আত্মদানকারী রংপুরের বীর সন্তান শহীদ আবু সাইদ, ঢাকার মুগ্ধ, দিনাজপুরের রাহুলসহ নাম জানা না জানা দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাঁদের রক্তের বিনিময়েই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে আমরা যেন তাঁদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করি। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।