কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ কাহারোলে ইরি রোরো মৌসুমকে সামনে রেখে বোরো ধানের বীজ বোপন ও বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে এ উপজেলার কৃষকরা। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমের আমন ধান কাটা প্রায় শেষ। কিন্তু এবার সময়মতো বৃষ্টিপাত না হলেও আমন ধান চাষাবাদের তেমন কোনোরুপ ক্ষতি হয়নি। আমনের হালকা পাতলা ক্ষতি হলেও তা এবার নতুন করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন বোরো ধানের বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বোরো ধানের বীজের দিন দিন চাহিদা বাড়ার আশংকা করায় কৃষকরা আমন কাটার পর থেকেই বীজতলা তৈরি করছেন। অনেক কৃষক জানান, বীজ ব্যবসায়ীরা বোরো মৌসুমে বোরো বীজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অধিক মুনাফা লাভের আশায়। উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ নুর কুতুবুল আলম বলেন,গত বছরের চেয়ে এবছর কিছুটা বোরো ধানের বীজ জাত ভেদে মূল্যে বেশি। বর্তমানে অত্র উপজেলার হাট বাজার গুলোতে জাতভেদে ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ব্রিধান-২৯,প্রতিকেজি ৮৫ টাকা, ব্রিধান-২৬ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রিধান-৮৯ প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, ব্রিধান-২৯ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রিধান-৮৮ প্রতি কেজি ৯৫ টাকা,ব্রিধান-৫৮ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ব্রি-আর-২৬, প্রতি কেজি ৭৫ টাকা কেজি ধরে কাহারোল বাজার থেকে ক্রয় করছি। বর্তমান বাজারে সেই বীজের ধান ১০ কেজি হারে প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্র পুর গ্রামের কৃষক মোঃ শাহজাহান আলী ,সরঞ্জা গ্রামের মোঃ হজরত আলী এবং কাজী কাটনা গ্রামের কৃষক মোঃ মাহতাব আলী জানান, এখন আমন ধান কাটার পর ধান মাড়ায়ে ব্যস্ত কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আমন ধানের চাষাবাদ কিছুটা কম হওয়ায় খুব বিপদে পড়েছি আমরা। ধানের ফলন ভালো পেয়েও কিন্তু দাম ভালো না পাওয়ায় চিন্তিত আমরা কৃষকরা। এই উপজেলায় এবার ২ শত ৭৯ হেক্টর জমিতে বীজ তলার লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সব মিলে বর্তমানে কৃষকেরা বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন অত্র উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যা সম্পর্কে কৃষকদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।