বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে অসুস্থ ৩টি শকুন চিকিৎসায়,দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ ৯:০৯ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের সিংড়া জাতীয় উদ্যান উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র।
বর্তমানে এখানে তিনটি বিলুপ্তপ্রায় শকুন নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে। সুস্থ করে সেগুলো কে অবমুক্ত করে দেয়া হবে। বন বিভাগ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে অসুস্থ শকুন উদ্ধার করে এখানে পাঠায়।
অসুস্থ শকুন দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছে।
সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বন বিট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ রায় জানান, সম্প্রতি ১৫ ও ২১ ডিসেম্বর দুই দফায় তিনটি অসুস্থ শকুন উদ্ধার করে রংপুর বনবিভাগের মাধ্যমে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব শকুন হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির।
শকুন গুলোকে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে প্রকৃতিতে ফেরত পাঠানো হবে।

পরিবেশ ও বন্য প্রাণী গবেষক কাজী জেনিফার আজমিরী জানান, শীতকালে হিমালয় অঞ্চলে খাবারের সংকটের কারণে হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির শকুন অনেক দূর পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে চলে আসে। তবে বড় বড় গাছের অভাব আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারের সংকটে তারা অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং মানুষের হাতে ধরা পড়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের আওতায় ২৪৯টি শকুন উদ্ধার ও চিকিৎসার পর প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

গত ছয় বছর ধরে উদ্ধার করা শকুনগুলোর পায়ে রিং পড়িয়ে অবমুক্ত করা হচ্ছে এবং ২০২২ সালে প্রথম বারের মতো ৩টি এবং ২০২৪ সালে আরো ৩টি হিমালয়ী গৃধিনীকে পরিচর্যার পর স্যাটেলাইট ট্যাগ সংযুক্ত করে অবমুক্ত করা হয়। ট্যাগিং এর তথ্য থেকে জানতে পেরেছি, হিমালয়ে যে অঞ্চলগুলোতে তারা বাসা বাঁধে বা বংশবৃদ্ধি করে বর্তমানে তারা আবাসস্থলে অবস্থান করছে এবং কিছু শকুন চীন, নেপালের হিমালয় অঞ্চলে ফিরে গেছে। গত দুই দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় শকুনের সংখ্যা ৯৯.৯৯% কমে গেছে । বাংলাদেশে আগে সাত প্রজাতির শকুন দেখা গেলেও বর্তমানে দুটি প্রজাতি রয়েছে -আবাসিক শকুন ও বাংলা শকুন। সারা দেশে এই শকুনের সংখ্যা মাত্র ২৬০টি ।
বাংলাদেশ আইইউসিএন এবং বন বিভাগ সমন্বয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শকুনের ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অমূল্য প্রাণীটিকে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যথাযথ উদ্যোগ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা আরও বাড়াতে পারলে আমরা শকুনের বিলুপ্তি ঠেকাতে সক্ষম হব। এই বিলুপ্তপ্রায় পাখিটির সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা অস্বীকার করা যায় না। উদ্ধার হওয়া শকুনগুলো হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির।’

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

হিলি রেলস্টেশন পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল

দেশে এখন আর কার্তিক মাসের আকাল নেই, মানুষ না খেয়ে থাকেনা–রানীশংকৈলে সাদেক কুরাইশী

পীরগঞ্জে সাওতাঁল জনগোষ্ঠীর মাঝে ভেঁড়া বিতরণ

এলপিজি: ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমল ২৪৪ টাকা

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বালিয়াডাঙ্গীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা-

বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয ভঙেে ফলোর হুমকি এবং অসাম্প্রদায়কি বাংলাদশেরে বরিুদ্ধে ষড়যন্ত্ররে প্রতবিাদে ঠাকুরগাঁওয়ে সম্মলিতি সাংস্কৃতকি জোটরে মানববন্ধন

পীরগঞ্জে পুষ্টি সমন্বয় বিষয়ক কর্মশালা

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর প্রথম বাংলায় ভাষণ স্মরণে ই-পোস্টার

হরিপুরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বীরগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন