স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটের প্রথম ধাপে বাছাইয়ে ৩৫৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭০, সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ৫৮ এবং সদস্য (মেম্বার) পদে ২২৫ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এছাড়া যাচাই বাছাইয়ের পর চেয়ারম্যান পদে ৩১টি ইউপিতে একক প্রার্থী রয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার এসব ইউপিতে মনোনয়ন বাছাই করা হয়।ইসি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৭৫২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র ১ হাজার ৯৯ ও দলীয় প্রার্থী ৬৫৩ জন। এছাড়া সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ১৪ হাজার ৪৩৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ৪ হাজার ৩০৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৬৮০, সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ১৪ হাজার ২০৬ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য (মহিলা মেম্বার) পদে ৪ হাজার ২৫০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ রয়েছে।
বিএনপি এই নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না এটা আগেই ঘোষণা দিয়েছে। ১১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩৫৮ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে চার জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২২৭ টির মধ্যে ১০টি, জাপার ৩২টির মধ্যে ২টি মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া সংক্ষুব্ধরা চাইলে আপিল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। সেখানেও সন্তুষ্ট না হলে এ বিষয়ে আদালতেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইসির তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপিতে ভোট হবে। আগ্রহীরা ১৮ মার্চ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন, বাছাই হয় ১৯ মার্চ। ২৪ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।