বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।। চলতি আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে প্রায় ২ মাস আগে। কিন্তুু এখন পর্যন্ত ১ কেজি ধানও গুদাম জাত করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। খোলা বাজারের তুলনায় গুদামে ধানের দাম কম হওয়ায় ধান দিচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
অন্যদিকে উৎপাদন খরচেন তুলনায় দাম কম হওয়ার পরও চুক্তিবদ্ধ মিলাররা নিজেদের ক্ষতি শিকার করেও চাল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন। চলতি মৌসুমে সেতাবগঞ্জ সরকারি খাদ্য ক্রয় কেন্দ্রে ৪৭ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ২শত ৬৮.৯৬০ মেঃটন আমন চাল, ৩৩ কেজি দরে ১ হাজার ১শত ৪৪ মেঃটন ধান ও ৪৬ টাকা কেজি দরে ৩শত ৯৩ মেঃটন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নিয়ে গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হয় চলবে ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে ১১ জানুয়ারি-২৫ পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭ হাজার ৭শত ৭১.৫০ মেঃটন, আতপ চাল ৩শত ৯৩ মেঃটন। অপরদিকে ধান সংগ্রহ শুন্যের কোঠায়।
সেতাবগঞ্জ সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে মূল্য বেশি থাকায় খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করছেন না কৃষকরা। তবে চুক্তিবদ্ধ ৩৩টি অটো রাইস মিল ও ৮০টি হাসকিং মিল মালিকগন তাদের কিছুটা ক্ষতি করে হলেও চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারি গোডাউনে সরবরাহ করছেন। চালের লক্ষমাত্রার শতভাগ পুরন হলেও ধান নেই ১ কেজিও।