শনিবার , ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনবল সংকটে বীরগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
এপ্রিল ৫, ২০২৫ ১১:০৯ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : চিকিৎসক ও জনবল সংকটে জর্জরিত দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার বাসিন্দারা।

২১ জন চিকিৎসক পরিবর্তে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সহ ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে ২০১৮-১৯ সালে বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির। এ উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ জনগণের একমাত্র ভরসা
৫০ শয্যার এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন ৪০০ থেকে ৪৫০জন রোগী। কিন্তু চিকিৎসক সংকটে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররাই বর্তমানে রোগীদের একমাত্র ভরসা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে যে তিন জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন তাদের দিয়ে কোন রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে জরুরি ও অন্ত:বিভাগের কাজ। একই সাথে রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
এছাড়াও প্রসূতি নারীদের স্বাভাবিক প্রসবে দৃষ্টান্ত রাখলেও জনবল সংকট সহ বিভিন্ন রোগের ঔষধে রয়েছে ঘাটতি। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব সহ দেড় বছর ধরে নষ্ট রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন। ফলে উপজেলাবাসী কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা সেবা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। গড়ে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩৫০ থেকে ৪০০ জন রোগী সেবা নেওয়া সহ জরুরি বিভাগে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আসেন, ভর্তি থাকেন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী।

উপজেলার সচেতনমহল বলেন, চিকিৎসক সংকটে রোগীদের ভোগান্তি সহ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এভাবে একটি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলতে পারে না। তাই অতি শীঘ্রই চিকিৎসক পদায়ন সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, হাসপাতালে মোট ৪ জন স্থায়ী চিকিৎসকের মধ্যে ডা: ইসমাইল হোসেন প্রশিক্ষণে রয়েছে। প্রেষণে সপ্তাহে ২দিন ডা: নবী হোসেন ও ডা: অমৃত জন চিকিৎসক বহির্বিভাগে রোগিদের সেবা দিচ্ছেন। চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের সামলাতে খুবই সমস্যা সহ হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার পরেও রোগীদের ভোগান্তি লাঘবে আমি সহ চিকিৎসকরা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। ওষুধের বিষয়ে জটিলতা নেই, তবে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ জনবহুল অঞ্চলের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক সংকট থাকায় মানুষের চাহিদা মেটানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫০ পরিবার সরকারি জমি কিনে ক্ষতিগ্রস্ত

নাট্য সমিতির বিজয়ের আনন্দ বৈঠকী অনুষ্ঠানে বক্তারা কাঙ্খিত বিজয়ের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষন-বঞ্চনার দীর্ঘ ইতিহাস

বীরগঞ্জে জিআর চালের ডিও বিতরণ

বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নির্বাচনী ব্রিফিং

আটোয়ারীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

পীরগঞ্জে ৪২’তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন

পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে মাসব্যাপি হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র মিষ্টি উপহার

ঢাবিতে যুবককে হত্যা: জড়িত থাকলে ছেলের বিচার চান, নির্দোষ হলে হয়রানি না করার আকুতি ফিরোজের বাবা-মার

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের নির্বাচনের জয়ী হলেন