কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ কাহারোলে ইরি-বোরো ধানের জমিতে আগাছা পরিস্কার করছেন শ্রমিক ও ধান চাষিরা। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বোরো ধানের জমিতে পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বোরো চাষিরা। গতকাল সোমবার (৭এপ্রিল‘২৫) অত্র উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বোরে ধান চাষী ও নারী শ্রমিকেরা বোরো ধানের জমিতে দল বেঁধে আগাছা দমনের নিরানী দিচ্ছেন। মহিলা কৃষি শ্রমিক রঞ্জনা রানীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমান সময়ে ২শত টাকা হাজিরা দিয়ে ধান নিরানী দিচ্ছি ইরি-বোরো ক্ষেতে। অপরদিকে আরেক কৃষি শ্রমিক হেমবালা রানী রায় বলেছেন, ২শত টাকায় দিন হাজিরা দিয়ে সংসারের খরচ হয় না, বাড়িতে বসে না থেকে দিনমজুর দিয়ে যাহা পাই তাই দিয়ে সংসার কোন রকমে চালাতে হয় আমাকে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে অত্র উপজেলায় ৫ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অতিক্রম করে ৫হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ঈশানপুর গ্রামের ইরি-বোরো ধান চাষি কৃষক মোঃ সামছুল ইসলাম জানান, ১০বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আগাম জাতের ধান গুলোর শীষ বের হতে শুরু করবে। বর্তমানে ইরি-বোরে ধান চাষাবাদের ক্ষেত্রে আবহাওয়া ভালোই রয়েছে। একই গ্রামের আরেক ইরি-বোরো ধান চাষি কৃষক মোঃ মোতালেব হোসেন বলেছেন, ২৯, ৮৯ জাতের ধানের শীষ আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে বের হবে বলে আশা করছেন তিনি। ওই কৃষক এবার ৩ একর জমিতে ৮৯ জাতের হাইব্রিড ধান চাষাবাদ করেছেন। বর্তমানে ধানগুলো ভালোই রয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য কৃষকদের সর্বপ্রকার সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিভিন্ন রোগ বালাই দমনের ক্ষেত্রে।