শুক্রবার , ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের বিকল্প মাটির বন্ধু ভার্মি কম্পোস্ট

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
এপ্রিল ১১, ২০২৫ ৮:৫২ অপরাহ্ণ

খানসামা প্রতিনিধি \ পরিবেশবান্ধব, ফলন বেশী ও লাভজনক হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে মাটির বন্ধু ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। এতে এ সার ব্যবহারে ও উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। আবার অনেকে নিজের চাহিদা মিটানোর পর বানিজ্যিকভাবে লাভবান হতে এই ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদন করছেন। কেঁচো সার উৎপাদন ও ব্যবহারে কৃষকদের ইতিবাচক সাড়াও মিলছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এমনই একজন কৃষক খানসামার গোয়ালডিহি ইউপির দুবলিয়া গ্রামের যুবক ও রানীবন্দর ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মুকুল চন্দ্র রায় বাণিজ্যিকভাবে এই সার উৎপাদন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ভার্মি কম্পোস্ট সার বিক্রি করে প্রতি দেড় মাস অন্তর অন্তর প্রায় ২৫-৩০টাকা লাভ হয়। ফলে মুকুল চন্দ্র রায়ের সংসারে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে মুকুল রায়ের উৎপাদিত এই জৈব সার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ হচ্ছে। এছাড়াও ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রধান উপকরণ জীবিত কেঁচো ১৫০০থেকে ২০০০টাকা তেজি দরে বিক্রি করেও আসছে অতিরিক্ত অর্থ। লোখাপড়ার পাশাপাশি তাঁর এই সাফল্যে অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন।
কৃষক মুকুল চন্দ্র রায় বছরখানেক আগে উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১২টি রিং চেম্বারে ৫ কেজি কেঁচো দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেন। শুরুর দিকে সার উৎপাদন হলেও বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। পরবর্তীতে মাঠ দিবস ও অনলাইন মাধ্যমে তার জৈব সারের প্রচারণায় নিয়মিত মাটির বন্ধু জৈব সারের চাহিদা বেড়ে যায়। মুকুল অর্গানিক এগ্রো ফার্ম নামে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের সত্ত¡াধিকারী কৃষক মুকুল চন্দ্র রায় জানায়, কৃষি বিভাগের সহায়তায় মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে স্বল্প পরিসরে বাড়ির উঠানে কেঁচো দিয়ে মাটির বন্ধু ভার্মি কম্পোষ্ট বা জৈব সার তৈরি শুরু করেন মুকুল। এই কাজে সহযোগিতা করেন তাঁর মা। সময়ের পরিক্রমায় এখন মূলধন প্রায় লক্ষাধিক টাকা। গোবরসহ কয়েকটি উপকরণ পচিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার উৎপাদন প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে ৩৫-৪০দিন। বর্তমানে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ছয় টন কেঁচো সার উৎপাদন করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন মুকুল চন্দ্র রায়। প্রতি কেজি সার বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০টাকা কেজি দরে।
এ ব্যাপারে মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে চাষাবাদের সাথে কেঁচো দিয়ে ২টি রিং এর মাধ্যমে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন শুরু করি। এখন ১২টি রিং-এ এই সার উৎপাদন করছি। এই জৈব সার বিভিন্ন ফসলে ব্যবহারের জন্য অনেক কৃষক ক্রয় করে নিয়ে যায়। এতে আমার আর্থিক স্বচ্ছলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বৃহৎ পরিসরে করা সম্ভব। এতে যেমন জৈব সারের চাহিদা মিটবে তেমনি অনেকের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার ইয়াসমিন আক্তার বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার অন্যতম উপাদান হল ভার্মি কম্পোস্ট সার। এ সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব। ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন ও গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় এবং ফসলের রোগবালাই কম হয়। ফলে ফসল চাষের উৎপাদন খরচ কম হয়। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে কৃষক-কৃষাণীদের ইতিবাচক সাড়াও মিলছে। আগ্রহী কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদানের কথা জানান তিনি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

চিরিরবন্দরে কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

পীরগঞ্জে ১২ জন জুয়ারি আটক

নানা আয়োজনে পঞ্চগড়ে বাংলা নববর্ষ বরণ

বিরামপুরে ‘পদ্মা’র পর ‘সেতু’ও মারা গেল \ বেঁচে রইল ‘স্বপ্ন’

পীরগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু ঃ সড়ক অবরোধ

ঠাকুরগাঁওয়ে উৎপাদিত আম ইউরোপে রফতানি কার্যক্রমের উদ্বোধন

ঘোড়াঘাটে হেরোইন ও  ইয়াবাসহ আটক ২

ঘোড়াঘাটে হেরোইন ও ইয়াবাসহ আটক ২

বোচাগঞ্জে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইএসডিও এর উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করায় বীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত

হরিপুরে বাঁশের সাঁকো পারাপারে চাদাঁ না দেওয়ায় মারপিটের অভিযোগ উঠেছে