দিনাজপুর জেলার ১৬৩৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় ডিসপ্লে বা স্ক্রিন, প্রজেক্টরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ৮মাস পর ফেরত নেয়া হয়েছে। এতে ঞতাশ শিক্ষক-অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা।
কোনও বিষয়কে ছবি কিংবা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য করে উপস্থাপনের একটি মাধ্যম ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম’। এজন্য দিনাজপুর জেলার এক হাজার ৬৩৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় ডিসপ্লে বা স্ক্রিন, প্রজেক্টরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। কিন্তু বেশিরভাগ বিদ্যালয় এগুলো কাজে লাগায়নি। এভাবে কেটেছে আট মাস। আট মাস পর এগুলো ফেরত নিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডিসপ্লে ও প্রজেক্টরসহ যাবতীয় সরঞ্জাম যাচাই-বাছাই না করে এবং অধিদফতর থেকে নির্দেশনা আসার আগেই ভুল করে বিদ্যালয়গুলোতে বিতরণ করা হয়। এজন্য বিতরণের আট মাস পর বিদ্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ফেরত আনা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে গত আগস্ট মাসে দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে দুটি কোম্পানির চার হাজার ডিসপ্লে, প্রজেক্টর ও ক্যাবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আসে। এর মধ্যে একটি কোম্পানির এক হাজার ৬৫৪টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জাম এবং আরেকটি কোম্পানির দুই হাজার ৩৪৬টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জাম। প্রথম কোম্পানির এক হাজার ৬৫৪টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জামের মধ্যে ১৭টি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বাকি এক হাজার ৬৩৭টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জাম জেলার ১৩ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিতরণের আট মাস পর হঠাৎ গত সপ্তাহে এসব সরঞ্জাম ফেরত দেওয়ার জন্য ১৩ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশ দেন।সেই মোতাবেক বিদ্যালয়গুলো থেকে এসব সরঞ্জাম ফেরত দেওয়া হয়।
ফেরত নেওয়ায় হতাশ শিক্ষকরা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বিতরণের আট মাস পর এসব সরঞ্জাম ফেরত নেওয়া হলেও কোনও কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। অথচ এগুলো বিতরণের সময় কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল তাদের। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান প্রজেক্টর দিয়ে আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করেছিল। অনেক প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখেছিল। তবে হঠাৎ এগুলো ফেরত নেওয়ায় যারা ব্যবহার করছিলেন, যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতাশ হন। কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, তাও জানানো হয়নি।