শুক্রবার , ৯ মে ২০২৫ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে নদীর চরে ধান চাষে ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন নদীপাড়ের কৃষকের

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মে ৯, ২০২৫ ১০:২০ অপরাহ্ণ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ এক সময় যে নদীর থৈ থৈ পানিতে নৌকা দাপিয়ে জেলেরা মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠত। আবহাওয়ার চরম বৈরীতায় এখন সেই নদীর বুকে শুধু ধুধু বালু চর। বৈশাখের শেষ প্রহরেরও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রয়োজনীয় সময়ে বৃষ্টিপাতের অভাব আর ঋতু পরিবর্তনের ঐতিহ্যে ভাটা পড়ায় বদলেছে নদীর পাড়ের মানুষের পেশা। তারা এখন নদী বুকে জেগে উঠা চরে ধান চাষ করে ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখছেন। তাই এখন সেই নদীতে মাছের বদলে দেখা মেলে সোলালি ধানের শীষ। নদীর বুকে জেগে উঠা চর নদীপাড়ের ভূমিহীন মানুষের এখন নতুন জীবিকার ঠিকানা।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঢেপা নদীর ¯øুইসগেট এলাকায় পানির নাব্যতায় জেগে উঠা চরে ধান কাটার ধুম পড়েছে। নদীর চরের জমিতে চাষ হচ্ছে ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-৮৮ এবং হাইব্রিড জাতের ধান। ফেরুয়ারি মাসের শুরুতে এসব চর জমিতে ধান রোপন করা হয়। রোপনের তিন মাসের মধ্যে অর্থাৎ এপ্রিলের প্রথম দিকেই ফসল ঘরে তুলতে শুরু করে কৃষকেরা। এই আগাম জাতের ধান অল্প সময়ে ভালো ফলন দেয় ফলে জমিতে অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষক হাফিজ (৬০) বলেন, নদীতে চর জেগে উঠার পর,আমি এক বিঘা জমিতে ধান আবাদ করি। ফেরুয়ারি মাসে ধান লাগাই । খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। মাত্র তিন মাসেই ধান ঘরে তুলতে পারবো ,আশা করছি ৩৫ থেকে ৪০ মণ ধান পাবো, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে। গরীব মানুষের জন্য এই চর এখন এক আশীর্বাদ।
একই এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি চর ও পাড়ের জমিতে ব্রি ধান-৮৮ লাগিয়েছি। প্রতিবেশী সাবিদ হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছে ১ বিঘা জমিতে। ফলন ভালো হয়েছে। এই ধান আমাদের পরিবারে ৬ মাসের খাবারের চাহিদা পূরণ করবে। জমি না থাকা অনেক গরীব মানুষেরা এখন নদীর পরিত্যক্ত জমিতে আবাদ করে উপকৃত হচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বীরগঞ্জ উপজেলায় ১৪,৭৫৯হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঢেপা ও করতোয়া নদীর পাড় এবং জেগে উঠা চরে চাষ হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমিতে । ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-৮৮ ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। আগাম জাতের এই ধানের কর্তন শুরু হয়েছে এবং একর প্রতি ফলন ৭০ থেকে ৮০মণ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। বাজার মুল্য ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, চর ও পাড়ের পরিত্যক্ত জমি চাষের আওতায় আনতে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে আরও জমিকে চাষের আওতায় আনা যায়। নদীর বুকে জেগে উঠা চরে ধান চাষের এই সফলতা এখন বীরগঞ্জের কৃষকদের জন্য শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং বীরগঞ্জের কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো হিসেবে দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

হাকিমপুরে চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

কাজে আসছে না ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি

হাবিপ্রবিতে কৃষকদের জন্য “আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

দিনাজপুর জেলা জমঈয়তে আহলে হাদীসের মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

স্বল্প দামে গো খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছে কাঁচা খড়

পঞ্চগড়ে বাপা’র আঞ্চলিক শাখা সম্মেলন

বালিয়াডাঙ্গীতে যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনাজপুরে সৌন্দর্য বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালা

এই দেশটা আপনার, আমার ও আমাদের: ডা.জাহিদ হোসেন