দিনাজপুরে রাইস মিল সেক্টরে ধানের তুষের ছাইয়ের টেকসই ব্যবহার অন্বেষণের জন্য কর্ম গবেষনার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর পৌরসভার ফতেহুল আলম দুলাল অডিটেরিয়ামে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন দিনাজপুর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।
গ্রীন বেরি ব্রিকস এন্ড বøকস-এর উদ্যোগে এবং সুইস কন্ট্রাক এর অর্থায়নে প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের আওয়তায় এই ওয়ার্কশপের মূল উদ্দেশ্য ছিল দিনাজপুর জেলার ধান মিল শিল্পে উৎপাদিত জঐঅ টেকসইভাবে ব্যবহারের সম্ভাবনা যাচাই। উদ্যোগের শিরোনাম ছিল “অপঃরড়হ জবংবধৎপয ঃড় ঊীঢ়ষড়ৎব ঝঁংঃধরহধনষব টংব ড়ভ জরপব ঐঁংশ অংয ড়ভ উরহধলঢ়ঁৎ জরপব গরষষরহম ঝবপঃড়ৎ”।
প্রকল্পের সার সংক্ষেপ ও প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন খঊউ প্রকল্পের সমন্বয়কারী ইব্রাহিম সাইদ খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রিন বেরি কংক্রিট ব্রিকস অ্যান্ড বøকস-এর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও শিল্প প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন সরকার। তিনি ধানের ভূসির ছাই ব্যবহারে পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই নির্মাণ প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন।
ওয়ার্কশপের শেষে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়,যেখানে তারা ধানের ভূসির ছাইয়ের ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
এই কর্মসূচি দিনাজপুরের কৃষি ও নির্মাণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ-সহনশীল প্রযুক্তির স¤প্রসারণে এই গবেষণাধর্মী উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উক্ত কর্মশালায় দিনাজপুর পৌরসভার প্রকৌশলীগণ,কর্মকর্তাগন,রাইস মিলের প্রতিনিধিগন ও প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের দিনাজপুরের এল ই ডি অফিসার মো: তাজমিনুর রহমান তপুসহ দিনাজপুরের ঠিকাদারগন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় আলচ্য বিষয় ঃ এক বছরে ৫০ লক্ষ বিলিয়ন ছাই তৈরী হয়। একটি মিলে একদিনে গড়ে ৫০ বস্তা ছাই তৈরী হয়। যা পরিবেশের ক্ষতি করে। রাইস মিলের ছাই দিয়ে বøক ইট তৈরী এবং এর গুনগত মান, পরিবেশের ভারশ্যাম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। ইট ভাটায় যেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করে। এই বøক ইটে মাত্র ১০জন শ্রমিক দিয়ে একদিনে ৫ হাজার ইট তৈরী করা সম্ভব। সব কিছু মিলিয়ে এই ইট পরিবেশ বান্ধব ইট। মাটির তৈরী ইটের থেকে খরচ কম।