সোমবার , ৩০ জুন ২০২৫ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে চাম্পাগাড়-এর উদ্যোগে ঐতিহাসিক সন্তাল বিদ্রোহ (হুল) দিবস উদযাপন

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুন ৩০, ২০২৫ ১০:০৯ অপরাহ্ণ

সোমবার দিনাজপুরে সান্তালী ভাষা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংগঠন চাম্পাগাড়-এর উদ্যোগে দিনাজপুর সদরের খাটাং পাড়া এলাকায় ঐতিহাসিক সন্তাল বিদ্রোহ (হুল) দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সকল অনুষ্ঠানে
চাম্পাগাড় সংগঠনের সভাপতি ফাদার ফ্রান্সিস মুরমু -এর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সাদার লাজারুস সরেন, সাধারণ সম্পাদক যোগেন বেসরা, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোষাধক্ষ্য মাইকেল মার্ডি, সদস্য সালভাতর পাউরিয়া, লুসি মার্ডি, সাবিনা হেমরম, বেঞ্জামিন সরেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফাদার প্রদীপ মারান্ডী, ফাদার মানিক বিশ্বাস, ফাদার সিমন মুরমু, ফাদার মাইকেল মুরমু, ফাটাংপাড়ার বাবলু বাস্কে।
সান্তাল বিদ্রোহ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভরতের পাকুড় জেলার পশ্চিমে চল্লিশ মাইল দূরের ভগনাডিহি গ্রামে সে সময় একটি অবস্থাপন্ন সাঁওতাল-পরিবার বাস করত, ঘটনাচক্রে যারা ওই মহাজন শ্রেনীর সর্বপ্রথম বলি হয়েছিল। পরিবারটি ছিল চার ভাইয়ের। এদের নাম ছিল সিধু, কানু, চাঁদ আর ভৈরব: সীমাহীন অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিল যারা। সাঁওতাল কৃষক সম্প্রদায় গান গাইতে গাইতে হাতে তীর-ধনুক নিয়ে জমিদার, মহাজন ও বৃটিশ সরকার-এই তিন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে খোলাখুলি সশস্ত্র অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে পতাকা তুলল। চরম নির্যাতিত ও অপমানিত সাঁওতাল সমাজ সর্বসম্মতিক্রমে অন্যায় অত্যাচারের পরিবর্তে শান্তি ও নিরাপত্তার দাবি করল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আরও রক্তপাত, শান্তিদান ও অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইল। এই সাঁওতাল মহা অভুত্থান নির্মমভাবে দমন করা হয়। এইখানেই সাঁওতালদের বা বস্তুতপক্ষে ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের কৃষকদের ওপর অত্যাচারের শেষ নয়। বরং এই অত্যাচার আরও তীব্রতর হল। ৩০ জুন, ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের সেই কালরাত্রিতে সাঁওতালরা ভগনাডিহিতে যে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিল, তা দেশের অন্যান্য প্রান্তেও পৌঁছে গিয়েছিল, যার প্রতিধ্বনি ১৮৬০-এর নীলচাষীদের ধর্মঘট, ১৮৭২-এর পাবনা ও বগুড়ার বিদ্রোহ, ১৮৭৫-৭৬-এ পুণা ও আহমেদনগরের মারাঠা কৃষক অভ্যুত্থানের সময় শোনা গিয়েছিল। অবশেষে এর ফলশ্রæতি হিসেবে সারা দেশের কৃষক সম্প্রদায় জমিদার ও মহাজনদের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক জোরদার দাবি তুলল। সাঁওতালদের রক্তে লেখা এই ¯েøাগান মোটা হরফে জ্বল জ্বল করতে লাগল।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রশমন দিবসআলোচনা সভা

দিনাজপুরে স্যাম্পল ঔষধ বিক্রির অপরাধে দুই ফার্মেসীকে জরিমানা

শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড দিনাজপুর শাখার উদ্বোধন

ঠাকুরগাঁওয়ে মৌমাছির আক্রমণে পত্রিকার হকার — শম্ভু বর্মন সহ অনেকেই অসুস্থ

শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করা ছাত্রদের কাজ না —- রাণীশংকৈলে বিএনপি মহাসচিব

আমেনা বেগম হত্যার ২২ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত চিরিরবন্দরের বুলবুল ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত

ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন আয়োজনে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রবিদাস ফোরাম ( বি.আর.এফ) সমন্বয় সংগঠনের আলোচনা সভা ও কমিটির গঠন

উর্বশী গানের সিঁড়ি’র দ্বিতীয় আসরেও জমিয়ে গাইলেন খ্যাতনামা সংগীতশিল্পীরা