খানসামা (দিনাজপুর) থেকে এস.এম. রকি \ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সদ্য যোগদানকারী স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠায় তার বদলি আদেশ বাতিল করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। একই সঙ্গে এ অনৈতিক ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ ফেরদৌসের স্বাক্ষরে গত ৩ জুলাই জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়, স্বাস্থ্য সহকারী মো. এনামুল হককে গত ২৯ মে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে পদায়ন করা হয়। এরপর তিনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দোকানদারদের নিকট থেকে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বদলি আদেশ বাতিল করে মূল পদ স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজা সুলতানকে। সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল এবং সদস্য হিসেবে আছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন মো. নাহিদ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, “সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি ইতোমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনামুল হক খানসামায় যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন দোকান থেকে ভয়ভীতি ও হুমকির মাধ্যমে টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। স¤প্রতি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও আকারে ছড়িয়ে পড়লে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের দ্রæত পদক্ষেপে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।