বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৩২ পরিবারের একমাত্র যাতায়াত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে গত ১ মাস যাবৎ বাড়িতে ফিরতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চাপাপাড়ার (বাহাদুর বাজার) মহল্লায় ঘটেছে এই ঘটনা। বৈদেশিক দাতা সংস্থার অর্থায়নে ক্লিনিক এর জায়গা দখল করে নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে পরিবারগুলো। এবিষয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সপ্তাহ খানেক রাস্তা খোলা থাকলেও পরবর্তীতে পুনরায় সেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়ি ঘর ভাঙচুরও করে প্রতিবেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি।
জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে নির্মাণ কাজ করার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী (ভূমি),বীরগঞ্জ থানা,বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মহিদুল ইসলাম (হাম্বল)। মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাপাপাড়া গ্রামের গড়েয়া (বাহাদুরহাট সংলগ্ন) পাকা রাস্তার উত্তরে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি প্রস্থের চলাচলের রাস্তাটি দিয়ে ৩২ টি পরিবার দীর্ঘ ৬০/৬৫ বছর যাবৎ চলাচলের রাস্তাটি শতগ্রাম ইউনিয়নের মুচিবাড়ী গ্রামের চাউল ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামের ছেলে রমেনুর রহমান বন্ধ করায় পায়তারা চালাচ্ছে।
মহিদুল ইসলাম, মজিদুল,সেরাজুল, ফয়জারসহ ভুক্তভোগী অনেক নারী-পুরুষ জানান, ৬৫ বছর থেকে বসতবাড়ি করে ৩২টি পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। পাশাপাশি উক্ত স্থানে ৭টি সরকারি ঘর ইতিপূর্বে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী রমেনুর রহমান তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতি গুরুত্বপূর্ণ জন চলাচলে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে।
অভিযোগের কথা স্বীকার করে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফজলে এলাহী জানান,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
এব্যাপারে পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকী মানিক জানান,রাস্তা বন্ধের বিয়ে রমেনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।