বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর বীরগঞ্জের শেষ সীমানা কাহারোলের শুরু কাঠালবাড়ি নামক স্থানে পূনর্ভবা নদী খননকৃত লাখ লাখ সিএফটি মাটি ও বালু বিগত ৩৫/৪০ দিন যাবত অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, বলেয়া বাজার ব্রীজ সংলগ্ন সুমাইয়া ট্রেডার্সের সত্ত্বাধীকারী ওমর ফারুকের প্রতিনিধি নয়ন রায়ের মাধ্যমে স্কেভেটর (ভ্যাকু) দিয়ে ট্রাক্টরে বেঝাই করে প্রতিটি গাড়ি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা হারে রিশদ মুলে আদায় করা হচ্ছে।
প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ট্রলি সরকারী মাটি ও বালি অবৈধভাবে বিক্রি ও আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে কর্মরত নয়ন সহ ট্রাক্টর চালক-হেলপার।
পাচারকৃত সরকারী সম্পদের সিংহ ভাগ দলুয়া দেওয়ানবাড়ি নির্মাণাধীন কোল্ড স্টোর ভরাট করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নির্মাণাধীন দেওয়ানবাড়ি কোল্ড স্টোরেজের স্বত্ত্বাধিকারী জামাল হোসেন, কামাল হোসেন কিংবা অন্য পার্টনারকে পাওয়া যায় নাই তবে কাজ দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আহসানুল হাবিব জানান, তারা প্রতি ট্রলি মাটি ও বালি ৭০০ টাকা হিসেবে স্থানীয় লাবু ও আরিফের নিকট ক্রয় করেছে। এগুলি বৈধ না অবৈধ তাদের জানা নেই।
মুঠোফোনে কথা হলে একই কথা বলেন কামাল হোসেন, আমরা টাকা দিয়ে মাটি ও বালি কিনে ভরাট করছি।
প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে সরকারী লাখ লাখ টাকা মুল্যের মাটি ও বালি কেটে আত্মসাতের মুলহোতা ওমর ফারুক কে জিজ্ঞেস করলে জানান আমি একা নই, কাহারোল বিএনপি’র বড় বড় নেতা এ কাজের সাথে জড়িত।
আমার নামে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিলামে ২৮ নম্বর লট ইজারা নিয়েছিলো, যথা সময় মাটি ও বালু অপসারণ করতে পারে নাই, পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলেমিশে ভাগ যোগ করে চালাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাহারোল বরাবর আবেদন করা আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাহারোল মিজ মোখলেদা বেগম মিম-এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নবাগত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।