ঠাকুরগাঁও: শর্ত সাপেক্ষে মার্কেট খোলার পরও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ।
সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তা, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও রোডসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মার্কেটের প্রবেশ পথেই জীবাণুনাশক ট্যানেল নেই। শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। ক্ষেত্র বিশেষে মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা দেখা গেছে অনেকের মাঝেই।
জমিদার পাড়া থেকে সন্তান নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা ইয়াসমিন বলেন, ঈদ ও রমজানকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে এসেছি। স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টা মাথায় আছে কিন্তু এসবও তো জরুরি। তবে মার্কেট কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে আরও সচেতন পদক্ষেপ নেওয়া।
ব্যবুসায়ী দুলালের সাথে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার তবে সাধারণ মানুষ অনেক আসতেছেন। অনেকেই মাস্ক ছাড়া দোকানে চলে আসছে। প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া উচিত।
কথা হয় সামসুদিনের সাথে । তিনি বলেন করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে পুরো রমজান জুড়– মার্কেট বন্ধ থাকতে পারে সেই আশঙ্কা থেকেই তারা আগেভাগেই কেনাকাটা সারছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ঘোষিত লকডাউনে মার্কেটসহ সবকিছু বন্ধ থাকার খবরে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন দোকান মালিক-শ্রমিকরা। তারা বলছেন, ক্রমাগত করোনা সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে তারা যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি এবারও রমজানে ব্যবসা বন্ধ থাকলে তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তাই ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হলে এই কয়েকটা দিনে তাদের বেচা-বিক্রি কেমন হবে তা নিয়েও শঙ্কিত বিক্রেতারা।
প্রসঙ্গত, দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের মার্কেট ও দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয় সরকার। আর ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন দেয়া হবে। এসময় জরুরী সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত, গণপরিবহণ, গার্মেন্টস-কলকারখানাসহ সব বন্ধ থাকবে।