স্বাস্থ্য অধিপ্তরের কারিগরি সহযোগীতায় টঘঋচঅ এর অর্থায়নে ল্যাম্ব হাসপাতাল কর্তৃক বাস্তবায়িত Elimination of genital fistula by capturing,treatimg,Rehabilitating&Reintegrating in Bangladesh (FRRei) প্রকল্পের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি উপজেলায় ফিস্টুলা রোগী চিহ্নিতকরণ ও সম্পর্ণ বিনামূল্যে অপারেশন ও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য করা এবং চিকিৎসা পরবতি সমাজ সেবা কার্যালয় , মহিলা বিষয়ক কার্যালয় এবং যুব উন্নয়ণ অধিদপ্তরের সহায়তায় পূনর্বাসন ব্যবস্থা করে তোলা।
মোছাঃ নিপা, পিতাঃ মোঃ –নরী বকস, গ্রামঃ করনাইট ,ইউনিয়নঃ নেকমরদ, উপজেলাঃ রাণীশংকৈল, জেলাঃ ঠাকুরগাঁও।তারা দুই বোন এক ভাই। তিনি ভাই বোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সাত বছর আগে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে আর উপরের দিকে যেতে পারেনি। এ সময়ে তার যোনীপথদিয়ে অনবরত পায়খানা ঝড়তে থাকে। প্রথম অবস্থায় সে অন্য কারো সাথে বিষয়টি শেয়ার করেনি। এভাবে কয়েকমাস অতিবাহিব হয়ে যায়। একদিন সে তার মাকে বিষয়টি বলে । তার মা একদিন নিপার বাবা ও ভাই বোনদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করে।তার পর থেকে আর নিপার স্কুলে যাওয়া হয় নাই। এ সময়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারে নাই, খেলাধুলা করতে পারেূ নাই। সব সময় একাকিত্ব জীবন যাপন করে। এভাবে সাত সাটি বছর অতিবাতিহ হয়ে যায়। একদিন রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মী (স্বাস্থ্য সহকারী)তাদের এলাকায় টি টি টিকা দিতে এসে তার মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা ল্যাম্ব হাসপাতাল পার্বতীপুর দিনাজপুর এ ভাল হয় জানতে পারে। এ সময়ে স্বাস্থ্য কর্মী ল্যাম্ব হাসপাতালের জেলা সমন্বয়কারীর সাথে ফোনে আলোচান করেন এবং পরের সপ্তাহে মঙ্গলবার উপজেলা হাসপাতালে রেফার করার জন্য নিপাকে আসতে বলেন । ২০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে ডায়াগনিষ্ট করার জন্য ল্যাম্ব হসপাতালে আসেন। সেখানে তার আর ভি এফ পজেটিভ হয়।ডাক্তার বলে এ রোগটি তার জন্মগত। চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব। গত ডিসেম্বর ২০২০ সালে তার সফল অপারেশন সম্পূর্ণ হয় । বর্তমানে সে সর্ম্পূণ রুপে সুস্থ্য। সে ১ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ হতে রাণীশংকৈল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের সহায়তায় তিন মাস মেয়াদকাল আধুনিক সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহন করতেছে। সে স্বপ্ন দেখে আবার সে স্কুলে যাবে এবং লেখাপড়া করবে নিজের পায়ে দাড়াবে।তার ইচ্ছা সে ভাল চাকুরী করবে এবং মানুষের সেবা করবে।