ঠাকুরগাঁও: রুহিয়ার কশালগাঁও গ্রামে জমির সীমানায় খুটি স্থাপন করতে গিয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী ও তার প্রতিবন্ধী ছেলের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, থানার রুহিয়া ইউনিয়নের কশালগাঁও (বন্দরপাড়া) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ওই গ্রামের ৯৮৮ নং খতিয়ানভুক্ত ৭১৫২ নং দাগের ১০ শতক জমির মধ্যে ৫.৩০ শতক জমির মালিক। বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী মোহাম্মদ আলী টিসিসহ তার কয়েক ভাইকে নিয়ে ওই জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল।
পরবর্তীতে মোহাম্মদ আলী টিসি ও তার অন্যান্য ভাইয়েরা ওই মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, জবর দখলকারী মোহাম্মদ আলী গং বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর বাড়িতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদ করায় তারা ওই মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট হতে তার আত্বীয় স্বজন এসে জমির সীমানা মেপে বের করে দেয়। শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী তার জমির সীমানায় পিলার বা খুটি স্থাপন করতে গেলে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী তার ছেলে ডেনি এবং বোন ডলি সহ পরিবারের অন্যান্যরা লাঠিসোটা নিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা চালায় এবং এলোপাথারী মারপিট করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে হামলা কারীরা তাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে জখম করে। ওই সময় তার প্রতিবন্ধী ছেলে শামীম হোসেন তার বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তার উপরও হামলা চালায় এবং বেধরক মারপিট করে। এক পর্যায়ে টিসি ধারালো রামদা দিয়ে তাকেও কোপ মারে। এতে তার হাতে ও বুকে জখম হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে পিতাপুত্র হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রুহিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় তারই ভাই মোহাম্মদ আলি টিসি কতক জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। এ নিয়ে কয়েকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু টিসি কাউকে না মানায় শালিসে বিষয়টি নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় জানান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর বসতভিটা নিয়ে বিরোধের বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ আছে এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।