বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোগডোমা গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন বাছারগ্রাম -মধুবনপুর সরকারী ইজারাকৃত বালুর ঘাট সীমানায় স¤প্রতি ২০-২৫ দিন পূর্বে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী হতে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট ইজারদার। আর এই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে সৃষ্ট বৃহৎ পুকুরাকৃতি গর্তের গভীর পানিতে ডুবে অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো শিশু মুশফিক (৭)। শিশুটির পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ঘটনার বিবরণে প্রকাশ থাকে, গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী নানা আলহাজ্ব আবুলের বাড়ীতে বেড়াতে আসে তার মেয়ে ও মালেশিয়া প্রবাসী জামাই চরাইখোলা নীলফামারী জেলা সদরের সাদেকুলের স্ত্রী দুলালী, ২ শিশু কন্যা ও ছেলে মুশফিক। গত মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর ২০২০ দুপুরের পর হতে হঠাৎ মুশফিককে দেখতে না পাওয়া গেলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশ্ববর্তী নদীতে ড্রেজার দ্বারা খলনকৃত এই গভীর গর্তের পানির ভিতর থেকে রাত আনুমানিক ৮টায় নিজপাড়া ইউনিয়নের কল্যাণীর রিয়াজুল, জিয়ারুল,আলম, জুয়েলসহ গ্রামবাসীরা মিলে মৃত শিশুটির লাশ উদ্ধার করে এবং পরদিন দাদার বাড়ী নীলফামারীতে নিয়ে গিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। এব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে উলেখিত খননকৃত আলোচিত বৃহত এই গর্তটি দেখতে পাওয়া যায় এবং গুচ্ছগ্রামের বেলাল, বুলবুল, ঘাটপারের বর্গাচাষী কল্যাণী গ্রামের আমিনুল মৃত শিশুটির নানা আবুল হাজী, মাদুলালী, মামা সাইফুলসহ এই বালুরঘাট পাড়ের এলাকাবাসীরা জানায়, ইজারদারের এহেন কার্য্যকলাপে ইতিপূর্বেও ঘাট এলাকায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, আর আজ অকালে প্রাণ গেলো শিশু মুশফিককের। উলেখ্য যে,অত্র এলাকার ভোগডোমা, ভোগডোমা গুচ্ছগ্রাম, ভোগডোমা আশ্রয়ন, মধুবনপুর, খামার মধুবনপুর, বাছাড়গ্রাম, ছয়ঘটি, বাজিবপুর গ্রাম সমূহে উপজেলা সদর থেকে চলাচলের জন্য অতি সংকির্ন একটি মাত্র পাকা রাস্তা থাকলেও বিগত ২০১৭ সালের বন্যায় রাস্তাটির বেহাল দূরদশা দেখা দেয়। এই রাস্তা থেকে বালু মহাল পর্যন্ত সংযোগ গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাগুলো কাদাযুক্ত হওয়ার বষা মৌসুমে এসব এলাকায় জরুরী প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স কিংবা বৈবাহিক অনুষ্ঠান সহ সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকে এবং যাতায়াতের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উপরন্তু উক্ত রাস্তাগুলি দিয়ে বেপরোয়া ভাবে ট্রলি/ ট্রাক্টর দিয়ে যত্রতত্র তীর্পলবিহীনভাবে বালু পরিবহন করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে কিছুকাল পুর্বেও দুর্ঘটনায় একইসাথে ৩ জনের অকাল মৃত্যু হয় এবং এলাকাবাসীসহ হাজারো পথচারীদের জানমাল হুমকির মুখে থাকায় চলাচলের জন্য কাঁচা রাস্তাগুলি পাককরণ ও একমাত্র পাকা রাস্তাটি মেরামত না করা পর্যন্ত উলেখিত বালু মহাল ইজারা না দিয়ে, বাতিল করার জোর দাবী করে ও শিশু মুশফিকের হত্যার তদন্তে ঊর্ধতন কতৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুগক্তভোগী এলাকাবাসীরা।