বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভার তিনটি পয়েন্টে ওএমএসের কেন্দ্রগুলো থেকে ন্যায্যমূল্যে চাউল ও আটা কিনতে সাধারণ কর্মহীন মানুষের উপচে পড়ার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এইসব কেন্দ্রে ভোর থেকে এসে লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতা সাধারণদের। দীর্ঘদিন ধরে চলমান করোনা মহামারি ও টানা লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় এতে ভিড় বলে সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেক মানুষ চাল বা আটা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মোস্তফা জানান,সরকার নির্ধারিত মূল্যে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি করার জন্য ২৫ জুলাই থেকে বীরগঞ্জ পৌরশহরের তিন প্রান্তে ৬ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। প্রতি ডিলারকে দৈনিক দেড় টন চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই কেন্দ্র থেকে জনপ্রতি ৩০ টাকা কেজি দরে দৈনিক পাঁচ কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে তিন কেজি আটা বিক্রি শুরু ওই ডিলারদের মাধ্যমে লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাল ওআটা বিক্রি করবে। পৌরশহরের হাটখোলায় ওএমএসের ডিলার ইয়াসমিন আলী জানান, প্রতিদিন দেড় টন চাল ৩০০ জনের মধ্যে ও এক টন আটা ৩০০ জনের মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই চাল ও আটা কিনছেন। তবে বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। লাইনে দাঁড়িানো লোকজনের মধ্যে শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানান তিনি। তিনি মনে করেন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পৌর এলাকায় আরো ডিলার নিয়োগ করা উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন,পৌরশহরে ৬জন ডিলারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। লোকজনের ভিড় বেশি এটা সত্য। প্রয়োজন হলে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে করে আরো ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। পৌরশহরের বলাকা মোড় কালী মন্দিরে ওএমএসের চাল কিনতে মানুষে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানে নেই কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধির বলাই। এব্যাপারে ডিলার দীপঙ্কর রাহা বাপ্পি বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বার বার বলার পরেও কেউ কথা শুনছেন না।