বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ বীরগঞ্জে ক্ষুদার্থ বানর খাদ্যের সন্ধানে শহরের বাড়ী বাড়ী ঘুরছে। মহল্লার নারী-পুরুষ ও বাচ্চারা ছাদে উঠে বানরের খাদ্য পরিবেশন করছে অথচ অভিভাবকেরা হামলার ভয়ে শংঙ্কিত।বীরগঞ্জ পৌর সভার ৫নং-ওয়ার্ডের শান্তিবাগ আবাশিক এলাকায় গত ১০ আগস্ট দুপুরে মোঃ আব্দুল জব্বার এর বাড়ীর টিনের ঘরের চালে উঠে খাওয়ার আবদার ও ইঙ্গিত করে। তিনি ও পরিবারের সদস্য নাতী মোঃ সাজিম ও সাদ হোসেন শুকনা খাবার বিস্কিট কলা ও পাউরুটি সংগ্রহ করে বানরকে খেতে দিলে ঘরের চালে বসে খেয়ে নেমে চলে যায়। জংলী জানোয়ার দেখে অনেকে ভীত কেউবা ইট-পাটকেল, কেহবা বাচ্চাদের ওপর হামলার ভয়ে লাঠি দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। পশু ও জংলী জানোয়ার প্রেমিরা আদর করে সাময়িক ভাবে পছন্দের খাবার দিচ্ছে বটে তবে এদের সংখ্যা নগন্য। আর এ নগণ্য খাবার খেয়ে বেচে থাকা সম্ভব নয়। বানরগুলো উদ্ধার করে চিরিয়াখানায় সংরক্ষনের দাবি এলাকাবাসির।প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ৩/৪ মাস আগেও একাধিক বানর শহরে দেখা য়ায়। এ-বাড়ী ও-বাড়ী গিয়ে খাদ্যের সন্ধান ঘুরে বেড়ায় অনেকে খাবার দেয় আবার অনেকে লাঠি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। মাঝখানে ২/১ মাস বানরগুলো মৌসুমী ফল আম-লিচু, জাতীয় ফল কাঠালের গাছে ও কদম গাছে উঠে ডালে বসে ফলগুলো খাদ্য হিসেবে খেয়ে প্রান রক্ষা করেছে এবং গাছে-গাছে ঘুরে বেড়িয়েছে।সচেতন মহল বলছে জংলী জীব-জানোয়ার দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত বন-বিভাগ ও প্রানী সম্পদ বিভাগ সরকারী বরাদ্দ থেকে এগুলোর তত্বাবধান করার কথা। তারা বলছেন, শুনেছি বানরগুলো শহরে বিচরণ করছে তবে দেখেনি অনেক খোজাখুজি করেও বানরের সন্ধান পাইনি। বানরগুলো শহর-বন্দরে প্রকাশ্য খাদের সন্ধানে হণ্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বানগুলো কোন মানুষ বা অবুঝ বাচ্চাদের হামলা বা আক্রমনের খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসি বন-বিভাগ ও প্রানী সম্পদ বিভাগের জরুরী হস্তক্ষেপে বানরগুলো উদ্ধার করে চিরিয়াখানায় সংরক্ষনের দাবি জানিয়েছে। বানরগুলে সংরক্ষ করা না হলে অনাহারে অর্ধাহারে এই এলাকার বিরল প্রজাতীর জংলী জানোয়ারগুলে মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে অনেকে।