বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী কাম হিসাব সহকারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে পরীক্ষা স্থগিতের জন্য বিজ্ঞ বীরগঞ্জ সহকারী জজ আদালত দিনাজপুরে নৌরিন নোমান, মোছাঃ শাহানা আক্তার, কৌশিক কর ও মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ বাদী হয়ে গত ০৯/০৯/২০২১ ইং তারিখে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোঃ মহসিন আলী, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ মাহাবুব আলম বুলেট, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কন্দর্প নারায়ন রায় ও মোঃ রেজাউল করিম উজ্বলের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার হওয়া সত্তে¡ও আদালতের আদেশকে অমান্য করে ১০/০৯/২০২১ইং তারিখে বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকালে ও বিকালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে পরীক্ষা সম্পন্ন করলে প্রার্থীরা সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের কাছে কিভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি। এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি বলেন আদালতে মামলা হয়েছে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়টি জানার পর ১১/০৯/২০২১ ইং তারিখের সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে নিয়োগটি স্থগিত করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি।অভিযোগকারীরা জানান, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্তে¡ও নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। আবুল হোসেন অভিযোগ করে জানান, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন আমার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। ৭ আগস্ট ২০২১ইং তারিখে পরীক্ষা অংশ গ্রহণের চিঠি পাঠালেও পরবর্তীতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ না দিয়ে আমার চেয়ে বেশি টাকা দাতাকে ডেকে এনে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে। অন্যদিকে প্রার্থী ফয়সালের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিকের নিকট হতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা গ্রহণ করে চাকুরী না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যে কোনো মূহুর্তে বড় ধরনের আন্দোলন হতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।