বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ বীরগঞ্জের সাতোর ইউনিয়নের বাসিন্দা সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সন্তান ২৮ মাইলের ঔষধ ফার্মেসি,দলুয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র রায় সুদারুদের অমানুষিক নির্যাতনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে মর্মে স্থানীয় গনমানুষসহ নিহতের পরিবারের দাবী।
সুূদের বোঝা বহন করতে না পেরে এবং সুদারুদের হুমকি সহ্য না হওয়ায় এ পথ বেছে নেন, হুমকি-ধমকি আত্মহত্যাকে প্ররোচিত করে।
১১ অক্টোবর’২১ দিবাগত রাতে শিক্ষক হরেন্দ্র রায় বাড়িতে না ফেরায় সকালে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের কথা মতে ছেলে পার্থ ২৮ মাইলে ঔষধের দোকানে গিয়ে দেখতে পায় ভিতরে ওর বাবার লাশ ফাঁসিতে ঝুলানো।
সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বীরগঞ্জ সার্কেল মোঃ আব্দুল ওয়ারেস, অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা মোঃ আব্দুল মতিন প্রধান সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরনসহ আলামত হিসেবে আত্মহত্যা পুর্বে শিক্ষকের নিজ হাতে লিখে রাখা সুদারুদের নাম সম্বলিত একটি টেবিল জব্দ করা হয়েছে।
উক্ত টেবিলে ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ আছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী পার্থ এবং ইউপি সদস্য নাসিরের কাছে জানা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল মানুষিক নির্যাতনের শিকার আত্মহত্যাকারী শিক্ষকের বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে মর্মান্তিক এ ধরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি অবিলম্বে দাদন ব্যবসায়ী তথা সুদখোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
একই সাথে তিনি বলেন এদের বিরুদ্ধে এলাকার সকলকে সজাগ থাকা দরকার।
এরা যে দলেরই হোক না কোন ছাড় দেয়া হবে না।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মতিন প্রধান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় ইউডি মানলা হয়েছে।