নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি \দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিবলী সাদিকের নামে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
সোমবার শিবলি সাদিকসহ আওয়ামী লীগের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। নিজের ছেলে ও ছেলের দুই বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন তিনি।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট হাকিমপুর পৌর শহরে সাবেক পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা, লাশ গুম ও হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মো. সুজন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট সকালে হাকিমপুর থানায় মামলা করেন।
সোমবার হওয়া হত্যা মামলার বাদী রবিউল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন-দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান (মানিক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম সবুজ, দপ্তর সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা জামাল বাদশা। এই মামলায় আরও অনেককে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে ৩১ মার্চ তিনজনকে হত্যার অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,২০২২সালের ৩০মার্চ দিবাগত রাতে রিমন ইসলাম, কিবরিয়া ইসলাম ও সাব্বির রহমানের মৃত্যুর ঘটনাটিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের নির্দেশে নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দাফনের জন্য তাদের পরিবারকে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে নিহতদের পরিবার অভিযোগ করেছেন।