বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু
হয়েছে। ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভা নিয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা। চলমান ভোটের
হাওয়ায় দুলছে বীরগঞ্জ, থেমে নেই ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী সকল ইউনিয়নে
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
চেয়ারম্যান ৩ জন ও বিএনপি-জামায়াত-বিদ্রোহী ৮ জন নির্বাচিত হয়। নিজপাড়া
ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেতে লবিং চালাচ্ছেন অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক, মহাজের নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রহমত আলী। যিনি সাবেক চেয়ারম্যান
মাওলানা আব্দুল মজিদের সমর্থন পুষ্ট। নৌকার মাঝি হওয়ার প্রত্যাশায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন
উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপরিচিত নেতা ঈশ্বর চন্দ্র রায়।বিগত নির্বাচনে নৌকা
মার্কার মনোনিত প্রার্থী, সাবেক সুনাধন্য চেয়ারম্যান মরহুম সুলতান সরকারের সুযোগ্য
সন্তান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নুরিয়াস সাঈদ সরকার, তাছাড়া স্বতন্ত্র
প্রার্থী হতে চান জিয়াউর রহমান জিয়াসহ অন্যরা ।নিজপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান
চেয়ারম্যান হাইব্রিড আওয়ামী নেতা, দুর্দান্ত প্রভাবশালী, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে
এমএ খালেক সরকার জয়লাভ করেন। বর্তমানে তার উপরে বিভিন্ন ধরনের দূর্নীতির অভিযোগ
সহ দুই মহিলাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অপরাধে তার নামে দুইটি আদালতে মামলা রয়েছে।
তাই বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি হিসেবে খালেক চেয়ারম্যান অতীতের অর্জিত
সুনাম নষ্ট হওয়ার গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবী ভোটারদের। প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেছেন বিএনপির জনপ্রিয়, নম্র, ভদ্র, সুশিক্ষিত, জনবান্ধব, সর্বস্তরের গণমানুষের
বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্ব, প্রার্থী প্রভাষক মো. আনিসুর রহমান আনিস। এবারও তিনি খুব শক্ত
অবস্থানে আছেন মর্মে অনেকের দাবী। তার সমর্থকরা বলেন তৃনমুলে আনিস ভাই
সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, ইনশাআল্লাহ তারা শতভাগ বিজয়ী হবেন
তাতে সন্দেহ নাই।মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বহুবারের নির্বাচিত ঐ
এলাকার গনমানুষের পরীক্ষিত ব্যক্তি, অপ্রতিদ্বন্দ্বী, জনপ্রিয়তার শীর্ষে, সাবেক উপজেলা
ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দেবশর্মা। দীর্ঘকাল ব্যাপী জনপ্রিয়তার সাথে
জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন। চেয়ারম্যান নিজেকে আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে
দাবী করলেও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী হিসেবে জয়লাভ করে থাকেন। এখানকার
ভোটারেরা মার্কা নয়, ব্যক্তি গোপালকেই চিনে ও ভোট দেয়। বর্তমান চেয়ারম্যান এতটাই
সফল তা অতুলনীয়, জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে। এবারও একই অবস্থা বলে দৃঢ় প্রত্যয়ী গোপাল ভক্তরা।
কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপট পাল্টে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন ইউনিয়ন শাখার
সভাপতি ত্যাগী ও প্রবীন নেতা মো. মিজানুর রহমান। আওয়ামী নেতা সাবেক চেয়ারম্যান ও
বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পরাজিত প্রার্থী মো.
ওয়াহেদুজ্জামান বাদশা ভালই জনবান্ধব ও বিজয়ে আশাবাদী এবং নওপাড়ার বাসিন্দা এই
ইউনিয়নের সাবেক মরহুম চেয়ারম্যান আজহারুল হক বেবীর পুত্র মো. শহিদুল্লাহ হক দলীয়
মনোনয়ন পেতে চেষ্টা এবং প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।দলীয় সিদ্ধান্ত বিদ্রোহীরা জয়ী
অথবা পরাজিত হোক তারা মনোনয়নের অযোগ্য। কিন্তু এই ইউনিয়নের ভোটাররা মনে করেন
চেয়ারম্যান গোপাল শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অন্যতম, তিনি হিন্দু ধর্মীয় দায়িত্বশীল নেতাও
বটে। আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতাদের একজন। তাকেই মনোনয়ন দেয়া উচিত। ভোটযুদ্ধে
কৌশলীরা মনে করেন গ্রহনযোগ্য, দক্ষ, নীতিবান জনদরদি ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে নৌকার
বিজয় নিশ্চিত।ভোগনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ধনাঢ্য পরিবারের অতিশয় শান্ত,
নম্র, ভদ্র, গাম্ভীর্যপূর্ণ, প্রতাপশালী ব্যক্তি, একাধিক বার নির্বাচিত আলহাজ্ব
বদিউজ্জামান পান্না। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হওয়ায় তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, যথেষ্ট
সুনাম। অতীতে জামায়াত সমর্থক হলেও এখন নাই বললেও চলে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের
সাথে গড়ে উঠেছে গভীর সখ্যতা। বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীগ
থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মরহুম চেয়ারম্যান ফজলুল করিমের সুযোগ্য সন্তান
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাজিউর রহমান রাজু। এবার তার
অবস্থান পুর্বের তুলনায় অনেক ভাল মর্মে নেতাকর্মী সমর্থকদের জরালো দাবী। তার
সমর্থকরা বলেন, গতবার সামান্য ভুলের কারনে হারতে হয়েছে এবার কোন ছাড় দেয়া হবে না,
ইনশাআল্লাহ আমাদের বিজয় হবেই হবে। দল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে আমাদের নেতা এলাকার
কৃতিসন্তান রাজু অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেইছেন, তাই জনগন এবার তার দিকেই
আছে এবং থাকবে।এই ইউনিয়নে আরও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন কৃষকলীগের সহ-সভাপতি
মো. রেজাউল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জন নন্দিত নেতা মিল
ব্যবসায়ী মো.মমতাজুল করিম।