গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন কর্মরত সকল প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠিত যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন জোষ্ঠ সাংবাদিক মো. শাহজাহান মিঞা। এ সময় এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হবি, মোশাররফ হোসেন বুলু, এ মান্নান আকন্দ, ইমান আলী মামুন, একেএম শামছুল হক, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, এমএ মাসুদ, রেজাউল ইসলাম, সুদীপ্ত শামীম, শহিদার রহমান জাহাঙ্গীর, জুয়েল রানা, শাহজান মিয়া, ওমর ফারুক, এনামুল হক ও মিজানুর রহমান প্রমুখ। এ সময় কর্মরত উপজেলার সকল সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নেয়া সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে ঘটনার দিন মতবিনিময় ছিল উপজেলা প্রশাসনের। ইউএনওর আমন্ত্রণে কয়েকজন সাংবাদিক এতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছাড়া বাকিদের বাহিরে যেতে। ঘোষণার পরে উপস্থিত সাংবাদিকগণ মতবিনিময় সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে সাংবাদিকগণ রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একত্রিত হয়ে এক জরুরী বৈঠক করেন। এতে ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানান সাংবাদিক নেতারা।
এদিকে বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘটনার দিন সন্ধায় সাংবাদিকদের গ্রুপে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ একটি বার্তা প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সভা চলাকালীন সময়ে পরিচয় পর্বে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি’রা প্রার্থী ছাড়া অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময় করবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। আমি আমন্ত্রণের (সাংবাদিক) বিষয়টি তখন তাদেরকে অবগত করি। কিন্তু তাঁরা প্রার্থী ছাড়া অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময়ে অসম্মতি জানান। ফলে উক্ত অনাকাঙ্খিত পরিবিশের সৃষ্টি হয়। এ অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’