তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
তীব্র হিমেল হাওয়া ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে দেশের উত্তরের জনপদের তেঁতুলিয়ার মানুষ। মঙ্গলবার রাত থেকেই বইছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও তীব্র হিমেল হাওয়া। এতে করে বৃষ্টি ও হিমেল হাওয়ার কারণে অনুভূত হচ্ছে তীব্র কনকনে শীত। আবহাওয়ায় রেকর্ডে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও হিমেল বাতাসের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে দূর্ভোগ । বুধবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনভর বইছে ঠান্ডা বাতাস আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের মুখ। এ কারণে বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের প্রান্তিক জনপদের মানুষগুলো। গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে কর্মজীবি মানুষদের কাজের যাওয়ার ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। শীত নিবারণে বাড়ির উঠোনে খড়-কুটো আগুনে তাপ নিতে দেখা যায় প্রান্তিক জনপদের মানুষগুলোকে। হাটবাজারগুলোতে বহু দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
কথা হয় বারঘরিয়া, সরদারপাড়া, বোচাগছ, পানিহাগা ও গোয়াবাড়ী ও ইসলামপুর এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথে। তারা ভুট্টা, গম, বোরো ও শাকসবজি চাষবাদ করছেন। তারা জানান, সকাল থেকে খুব বাতাস বইছে, তার সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। কাজে যেতে পারছি না। জমিনে বোরো ধান, গম, ভুট্টা লাগিয়েছি, পরিচর্যা করতে হচ্ছে। সবজি চাষী আফাজ জানান, ঠান্ডার কারণে সকালে পাতাকফি ও ফুল কফি কাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা করে কনকনে শীতের মধ্যেই সীমান্ত নদী মহানন্দায় পাথর তুলতে দেখা গেছে শতশত শ্রমিকদের।
এদিকে শীতের মধ্যে বেড়েছে শীতজনিত নানান ব্যাধি। হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে জ্বর-সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, সাইনোসাইটিস, ইসনোফিলসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকায় চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত ১০দিন ধরেই দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮/৯ এর মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে। তবে বুধবার সকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে প্রবাহিত পুবালী ঠান্ডা বাতাস বইছে। বাতাসের আদ্রতা প্রতিঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ নটিকেল মাইল বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। বাতাসের কারনে বেশ তীব্র ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। জানুয়ারী প্রথম পর্যন্ত শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে তিনি জানান