বৃহস্পতিবার , ১৩ জানুয়ারি ২০২২ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে জমে উঠেছে শীতের পিঠাপুলির দোকান

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১৩, ২০২২ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জমে উঠেছে গরমগরম শীতের পিঠাপুলির দোকান। “শীত মানেই বাহারি সব ধরনের পিঠাপুলির দিন” আদি খাদ্য সংস্কৃতির একটি অংশ শীতের পিঠা। শীত আসলেই বাঙালির ঘরে ঘরে মেতে উঠে পিঠার উৎসবে। আদি শীত এলেই তা যেনো রুপ নেয়া রঙিন আকারে। আর পিঠাপুলির মৌ মৌ ঘ্রাণে করে চারিদিকে। এমন ভাবনাই তো বাঙালি ভোজন পিয়াসি মানুষ। তাই পৌষের কুয়াশা মোড়ানো শীতের হিমেল হাওয়ায় ধোঁয়া উঠা ভাপা চিতাই,পুলি, পাটিসাপটা ও তেলে ভাজা পিঠার স্বাদ না নিলে তৃপ্তি মেটে না অনেকের। তাই পিঠা প্রেমিকদের গরমগরম শীতের পিঠাপুলির স্বাদ নেওয়ার ধূম পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলায়। এবারও শীত মৌসুমে পৌরশহরের অলিগলিতে এবং বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও পাড়া-মহল­ায় বসেছে ভ্রামান পিঠাপুলির দোকান। এসব দোকানে নানা শ্রেণি পেশার মানুষেরা হুমড়ি পড়া ভিড়। শীতের পিঠায় মায়ের আদর মাখা না খাথলেও আসছে পিঠা ব্যবসায়ীদের যতœ -আত্তি। সরজমিনে দেখা যায়, পিঠাপুলি বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ হত দরিদ্র পরিবারের নারী। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছতা ফেরাতে ফুটপাতে পিঠা তৈরি করছে তারা। আবার সংসারে অর্থ উপার্জনের কেউ না থাকায় পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন অনেকেই। উপজেলা ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট হাজীপাড়া এলাকার পিঠা বিক্রেতা বিধবা নারী হাজেরা (বেওয়া) (৪২)জানান,সংসারে আয় রোজকারে কেউ নেই। প্রায় সারা বছরই কবিরাজহাট রাস্তার পাশে প্রায় দুই বছর থেকে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। প্রতিদিন জ্বালানি খরচ বাদ দিয়ে ২ থেকে ৩ শত টাকা আয় হয়। যা দিয়ে সংসার ভালোই চলছে। বীরগঞ্জ পৌরসভার হাটখোলায় চিয়ার টেবিল বসেয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করে মনোরম পরিবেশে পিঠাপুলি বিক্রি করছেন মোঃ শাহাজাহান আলী ও তার পরিবার। বিক্রেতা মো. শাহাজাহান আলী (৪৮) জানান,শীত আসলে পিঠার দোকান নিয়ে পুরো সময়টা ব্যস্ত থাকি।পুরো শীত পর্যন্ত চলে এ ব্যবসা। শীতের শুরু থেকে পিঠাপুলির দোকানে ভিড় জমে। বেচাকেনাও বেশ ভালো। অনেক সময় ক্রেতাদের মিটানো সম্ভব হয় না। আমার দোকানে চিতাই পিঠা ৫ থেকে ১০ টাকা, ভাপা পিঠা ৫ টাকা,তেল পিঠে ৫টাকা ও পুলি পিঠা ৫ টাকা বিক্রি হয়। ভাপা পিঠা মুখরোচক করতে ঝুড় ঝুড়ে গুড়, নারিকেল দিয়ে বানানো হয়। চিতাই পিঠা স্বাদ বাড়াতে সরষে বাটা,ধনিয়া পাতার ভর্তা, শুটকি ভর্তা, মরিচের ঝাল দোকানে রাখা হয়। শীত মৌসুমে এই পিঠে বিক্রি করে সংসারের ভালো আয় রোজকার হচ্ছে। এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে পৌরশহরের পুরাতন পৌরসভার সামনে,বলাকা মোড়,তাজ মহল মোড়, আরিফ বাজারসহ বিভিন্ন জাগায় ভ্রম্যামান পিঠার দোকান নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়ে। পুরো শীত পর্যন্ত চলে এই ব্যবসা।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে উলামা মাশায়েখ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কাহারোলে ধানের অভাবে ১০৪ টি চালকল ও চাতাল বন্ধ \ শ্রমিকের দুর্দিন।

ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে নৈতিক শিক্ষায় আলোকিত করে ——হুইপ ইকবালুর রহিম

বিরলে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

ঠাকুরগাঁওয়ে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

বিরলে দূর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

হরিপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এ আর ফাউন্ডেশনের অনুদান প্রদান

স্থানীয় ভাবে বালু মহাল না থাকায় রাণীশংকৈলে ভাটা মালিক ও ঠিকাদারদের মাথায় হাত!

বীরগঞ্জে দারুল হুদা হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ

ফুলবাড়ীতে আলুর বস্তায় ফেন্সিডিল উদ্ধার, আলুসহ ট্রাক জব্দ ও চালক-হেলপার আটক